হিন্দুদের একটাই দাবী, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় চাই।
হিন্দুদের একটাই দাবী, বাংলাদেশে #সংখ্যালঘু_মন্ত্রনালয় চাই।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
হিন্দু আইন পরিবর্তনের ফলাফল। শু কৌশলে হিন্দুদের ধংস করার জন্য কিছু চামচা কাজ শুরু করেছে। সাবধান হিন্দুরা। নিচের কারন গুলো সহ আরো অনেক ঘটনা ঘটতে পারেঃ
১. আপনার মেয়ে আপনার মুখে চুনকালি মেরে এক বিধর্মীর হাত ধরে চলে যাবে, তারপর আপনার নিকট আসবে তার সম্পত্তির ভাগ চাইতে।
২. আপনার ছেলে যদি তার বোনের সম্পত্তির অংশ (প্রকারান্তে তার নিজের পিতার সম্পত্তি) কিনে রাখতে অসমর্থ হয়, দু’দিন পর আপনার মেয়ে তার ভাগ এক বিধর্মী কাছে বিক্রি করে দিবে। কয়েকদিন পর আপনার ছেলেরও আপনার ঘরে বসবাস শেষ!
৩. অসংখ্য ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে টান পড়বেই। অসংখ্য ছেলেমেয়ের থাকবেনা দাদু বাড়ি (মামাবাড়ি)।
৪. সম্পত্তির লোভ আপনার মেয়ের না থাকলেও জামাই বা তার পরিবারের লোকদের থাকতে পারে। ফলে জামাই বাড়িতে আপনার মেয়ের নির্যাতনের নতুন প্ল্যাটফরম তৈরি হবে।
৫. সাংসারিক অপ্রাকৃত ভালোবাসা কমে যাবে। কারণ আপনার জামাই আপনার মেয়েকে ভালোবেসে বিয়ে করবে না, বিয়ে করবে আপনার সম্পত্তি।
৬. অন্যান্য ধর্মের মতো ডিভোর্স বেড়ে যাবে (অবশ্য অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা এটাই চাচ্ছে, কারণ আমাদের পারিবারিক বন্ধন তাদের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে)। কারণ স্বামী স্ত্রী মাঝে একটু কলহ হলেই বাপের সম্পত্তির জোরে স্ত্রী একটা খারাপ সিদ্ধান্ত নিতে দু’বার ভাববেন না।
৭. আপনার সম্পত্তির লোভে আপনার বিবাহিত মেয়ের পিছনেও অনেক ভূত প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াবে এবং তাকে ফুসলিয়ে খারাপ চিন্তায় বাধ্য করবেই।
৮. আপনার জায়গার পরিমাণ কম হলে আপনার ছেলে তার বোনকে ভাগ দিয়ে দেখা যাবে নিজের অংশে একটা ঘর তুলতে পারছেনা, কারণ জায়গা অনেক কম (শহর এলাকায় এটি হবে)। অপরদিকে, আপনার লোভী মেয়েটা তার অংশটুকু পাশের এক বিধর্মীর কাছে বিক্রি করে দিয়ে চলে গেল। আপনার ভিটায় লালবাতি।
৯. সম্পত্তির লোভে কিছু অকর্মা ছেলে আপনার ভোলা ভালা মেয়েটার পিছনে লাইন মেরে তাকে ভাগিয়ে বিয়ে করে ঘর জামাই থাকবে, এতে অবশ্য অকর্মার অন্নসংস্থান হবে। কিন্তু হারবেন আপনি।
১০. হিন্দু অনাথ শিশুতে ভরে উঠবে সনাতনী সমাজ। কারণ মেয়েদের সম্পত্তি ভাগিয়ে অনেক স্বামীই নতুন রমণী নিয়ে আসবেন, অন্যদিকে ওই নারী সম্পত্তি নিয়ে ইতোমধ্যে বাপের বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করেছেন। ফলে তার আর মাথা ঠেকানো জায়গায় থাকবেনা। ফলশ্রুতিতে তাকে হয় মরতে হবে, নতুবা রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হবে। এই একটি কারণেই কলকাতায় তৈরি হয়েছে সোনাগাছি! কিন্তু আমাদের দেশে দেখুন, আজও অসংখ্য বিধবা নারী বাপের বাড়িতে ভাইয়ের পরিবারে সম্মানের সহিত আছেন।
সাবধান হিন্দু!
(সর্বোপরি, আগে হিন্দু আইন সম্পর্কে জানুন, তারপর পরিবর্তনের কথা বলুন। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, শাস্ত্রে উল্লেখিত হিন্দু আইনে নারীদের যতটা সম্পত্তি প্রাপ্তির অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে, তা অন্য কোন ধর্মে তা করা হয়নি। শাস্ত্রে কিছু বিধিবিধানের মাধ্যমে মেয়েদের স্বামীর পূর্ণ সম্পত্তির অধিকার দেয়া হয়েছে। আমাদের পবিত্র শাস্ত্রমতে একজন মেয়ে তার গোত্র পরিবর্তন করে নতুন পিতৃগৃহে গমন করে, তেমনি তার পিতৃগৃহেও তার পিতা পুত্রের বিয়ে দিয়ে নতুন কন্যাকে নিয়ে আসেন। পিতার সম্পত্তি তো তার সন্তানেরই।তাই ঈশ্বরের নিকট হতে মুনি ঋষিদের দ্বারা প্রাপ্ত আইনে হাত দেয়ার সাহস করো নেই। নমস্কার।
বিধর্মীরা তাদের এজেন্টদের দ্বারা হিন্দুদের বিশ্বাস ও আদর্শ ধ্বংসের যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, তা আমাদের রুখতেই হবে। নতুবা ধর্মরাজ আমাদের ক্ষমা করবেন না, অর্থাৎ অচিরেই আমরা মহাকালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবো। হিন্দু সাবধান!
.
.
.
#এখন_আসা_যাক_হিন্দু_শাস্ত্রের_আইন_কি_বলেঃ
🚩পৃথিবীর আর কোন ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থে নারীদের এমন ভূমিকা দেখা যায় না। একমাত্র পবিত্র বেদেই পাওয়া যায় নারীদের এমন অসাধারণ অবদান। অার পৃথিবীর অন্যান্য সব ধর্মগ্রন্থে পুরুষদের ভূমিকাই পাওয়া যায় কেবল।
সনাতন ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বেদ। এবারে দেখুন পবিত্র বেদের নারী স্তুতি, যেগুলোতে #পুত্রের পাশাপাশি #কন্যাকেও প্রার্থনা করা হয়েছে-
.
.
.
• আমার পূত্র শত্রুর নাশকারী এবং নিশ্চয়রূপে আমার কন্যা বিশিষ্টরূপে তেজস্বিনী।
- ঋগবেদ (১০।১৫৯।৩)
.
• যেমন যশ এই কন্যার মধ্যে এবং যেমন যশ সম্যকভৃত রথের মধ্যে, ঐরূপ যশ আমার প্রাপ্ত হোক।
- ঋগবেদ (৯।৬৭।১০)
.
• একসঙ্গে মিলিয়া যজ্ঞ করিলে পতি পত্নী, পুত্র এবং কন্যা কুমারী লাভ করেন। তাহারা পূর্ণ আয়ু ভোগ করেন। এবং উভয়ে নিষ্কলঙ্ক চরিত্রের স্বর্ণভূষণে দীপ্যমান হন।
- ঋগবেদ (৮।৩১।৮)
.
অথর্ববেদের ১ম কান্ডের ১৪তম সুক্তে একজন পিতার কন্যা দানের উল্লেখ পাওয়া যায়-
• হে নিয়মকারী বর রাজন! এই কামনাযোগ্য কন্যা তোমার বধু। সে তোমার মাতা পিতা এবং ভ্রাতার সাথে ঘরে নিয়মপূর্বক অবস্থান করবে।
- অথর্ববেদ (১।১৪।২)
.হে বর রাজন! এই কন্যা তোমার কুলের রক্ষাকারী, তাহাকে তোমার জন্য আমি আদরের সহিত দান করিতেছি। সে বহু কাল পর্যন্ত তোমার মাতা পিতা আদির মধ্যে নিবাস করবে।
- অথর্ববেদ (১।১৪।৩)
.
বিবাহিতা নারীকে ‘কল্যাণময়ী, মঙ্গলময়ী’ আখ্যায়িত করে বেশ কিছু স্তুতির উল্লেখ পাওয়া যায় বেদে-
.
• হে বধূ! শ্বশুরের প্রতি, পতির প্রতি, গৃহের প্রতি এবং এই সব প্রজাদের প্রতি সুখদায়িনী হও, ইহাদের পুষ্টির জন্য মঙ্গল দায়িনী হও।
- অথর্ববেদ (১৪।২।২৬)
.
হে বধু! কল্যাণময়ী, গৃহের শোভাবর্দ্ধনকারী, পতি সেবা পরায়ণা, শ্বশুরের শক্তিদায়িনী, শাশুড়ি আনন্দ দায়িনী, গৃহকার্যে নিপুণা হও।
- অথর্ববেদ (১৪।২।২৭)
.
• হে বধূ! যেমন বলবান সমুদ্র নদী সমূহের উপর সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়াছে, তুমিও তেমন পতিগৃহে গিয়া সম্রাজ্ঞী হইয়া থাকো।
- অথর্ববেদ (১৪।১।৪০)
.
• শ্বশুরদের মধ্যে এবং দেবরদের মধ্যে, ননদ ও শাশুড়ির সঙ্গে মিলিয়া সম্রাজ্ঞী হইয়া থাকো।
- অথর্ববেদ (১৪।১।৪৪).
.
• এই বধূ মঙ্গলময়ী, সকলে মিলিয়া ইহাকে দেখো, ইহাকে সৌভাগ্য দান করিয়া দুর্ভাগ্য বিদূরিত করো।
- অথর্ববেদ (১৪।২।২৮)
.
• হে স্ত্রী! শ্বশুরের নিকট সম্রাজ্ঞী হও, শাশুড়ির নিকট সম্রাজ্ঞী হও, ননদের নিকট সম্রাজ্ঞী হও এবং দেবরদের নিকট সম্রাজ্ঞীর অধিকার প্রাপ্ত হও।
- অথর্ববেদ (১০।৮৫।৪৬)
.
হে স্ত্রী! অমৃতরসে পরিপূর্ণ এই কুম্ভকে আরো পূর্ণ করিয়া আনো, অমৃতপূর্ণ ঘৃতধারাকে আনো, পিপাসুকে অমৃতরসে তৃপ্ত করো। ইষ্ট কামনার পূর্তি গৃহকে রক্ষা করিবে।
- অথর্ববেদ (৩।১২।৮)
.
যজুর্বেদ ২২।২২ মন্ত্রে পরমেশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে যে, আমাদের রাজ্যে যেন বিদ্বান ব্রাহ্মণ, নির্ভয় ক্ষত্রিয়, দুগ্ধপূর্ণ গাভী, ভারবাহী ষাড়, ঔষধি, সুন্দর ব্যবহারকারী স্ত্রী এবং শত্রু বিজয়কারী পুরুষ উৎপন্ন হয়। মন্ত্রটিতে স্পষ্টভাবে পুরুষের সাথে সাথে নারীকেও উৎপন্ন হবার জন্য প্রার্থনা করা হচ্ছে।
.
• ন জাময়ে তান্বো রিক্থমারৈক্চকার গর্ভং সনিতুর্নিধানম্।
যদী মাতরো জনযন্ত বহ্ণিমত্যঃ কর্তা সূকৃতোরন্য ঋন্ধন্।।
- ঋগ্বেদ (৩.৩১.২)
#অনুবাদ- পুত্র কন্যাকে (ভাই তার বোনকে) পিতৃসম্পত্তি থেকে আলাদা করে দেয়না, তা সমানই থাকে বরং সে তার বোনকে শিক্ষিত, সংস্কৃতিবান করে গড়ে তোলে এবং স্বামীর হাতে তুলে দেয়। পিতামাতা ছেলেমেয়ের জন্ম দেন, প্রথমজনকে পারিবারিক দায়িত্ব অর্পণের জন্য আর দ্বিতীয়জন আসে তাদের জন্য পবিত্রতা ও গুণের প্রতীক হিসেবে।
#ব্যাখ্যা- এই মন্ত্রে ছেলে ও মেয়ে সন্তানের সম্পত্তির উত্তরাধিকারের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। একটি পিতামাতার যদি শুধু মেয়ে সন্তান থাকে তবে পিতৃসম্পত্তির সম্পূর্ণ ভাগটাই সে পাবে, আর যদি তার ভাই থাকে তাহলে দুজনের মধ্যে তা সমানভাবে ভাগ হবে, কোনভাবেই তা এককভাবে শুধু পুত্রসন্তান পাবেনা। আর পিতা-ভ্রাতাদের কর্তব্য হল কন্যাকে বিয়ের আগেই শিক্ষা-কৃষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসেবে গড়ে তোলা। একজন পুত্রের কাজ সংসারের দায়িত্বভার নেয়া আর একজন কন্যাসন্তানকে পিতামাতার জন্য পবিত্রতা ও গুণের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
‘মহাবীর তন্ত্র’ এর দশম অধ্যায়ে বলা হয়েছে-
“নারীরা সকল ধরনের শ্রাদ্ধ করতে পারবে কেবলমাত্র বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ ব্যতীত।”
বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ নারীরা করতে পারবেন না কেননা একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী অনাগত সন্তানের মঙ্গল কামনায় যে শ্রাদ্ধ করেন তাই হল বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ। সুতরাং নারীর এই শ্রাদ্ধ করতে পারার কোন কারণ নেই!
বিখ্যাত তামিল ঐতিহাসিক গ্রন্থ পুরুনানুরুতে আমরা দেখতে পাই লেখক ভেল্লেরুক্কিলাইয়ার বর্ণনা দিচ্ছেন রাজা ভেলেব্বির মৃত্যুতে রানীর পিণ্ডদানের কথা। শাস্ত্রমতে একজন ব্যক্তির যেসকল আত্মীয়রা শ্রাদ্ধ করতে পারেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ছেলে, মেয়ে, ছেলের ছেলে, মেয়ের ছেলে, স্ত্রী, বাবা, মা, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, গুরু, শিষ্য। অর্থাৎ যেহেতু ওই ব্যক্তির মেয়ের পিণ্ডদানের অধিকার আছে তাই দায়ভাগ শাখায় মেয়েদের পৈতৃক সম্পত্তি লাভের সুযোগ রয়েছে।
.
.
#আরোঃ
১/ পিতার সম্পত্তিতে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার রয়েছে। ঋগবেদ ৩/৩১/১
২/ গর্ভের সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে হোক সে যেনো ভালো থাকে। অথর্ব বেদ ২/৩/২৩
৩/ একজন নারীর কখনো যেনো কোনো সতীন না থাকে। অথর্ব বেদ ৩/১৮/২
৪/ নারী হল মঙ্গলময়ী লক্ষী। অথর্ব বেদ ৭/১/৬৪
৫/ নারী হল জ্ঞানের ধারক। অথর্ব বেদ ৭/৪৭/১
৬/ নারী হল শিশুর প্রথম জ্ঞানদাতা। অথর্ব বেদ৭/৪৭/২
৭/ নারী শিক্ষা গ্রহণ শেষে পতিগৃহে যাবে। অথর্ববেদ ১১/৫/১৮
৮/ নারীর যেনো দুঃখ কষ্ট না হয়। অথর্ব বেদ১২/২/৩১
৯/ নারীকে উপহার হিসাবে জ্ঞান উপহারদাও। অথর্ববেদ ১৪/১/৬
১০/ যেসকল নারী দেহ রুপ দেখিয়ে অপরের সাথে বন্ধুত করতে চায়, তারা হায়েনাদের মত এবং তাদের জন্য নরকভোগ অনিবার্য, তাদের পরিত্যাগ কর। ঋগবেদ ১০/৯৫/১৫
১১/ সনাতন ধর্মে বিধবা বিবাহ সমর্থন করে পরাশর সংহিতায় বলা হয়েছে—
নষ্ট মৃতে প্রব্রজিতে ক্লীবে চ পতিতে পতৌ।
পচস্বাপতসু নারীরাং পতিরন্যো বিধোযতে।।”
(পরাশর স্মৃতি সংহিতা ৪/২৭)
অনুবাদঃ— নারীর যদি স্বামী মারা যায়, তাঁর স্বামী যদি গোপনে সন্ন্যাস গ্রহণ করে নিখোঁজ হয়ে যায়, স্বামী যদি নিখোঁজ হয়ে যায়, স্বামী যদি সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়, স্বামী যদি অধার্মিক ও অত্যাচারী হয় তবে নারী এই স্বামী ছেড়ে পুনরায় বিবাহ করতে পারে।
১২/ পবিত্র বেদ এই সম্পর্কে কি বলে দেখা যাকঃ
ইয়ং নারী পতি লোকং বৃণানা নিপদ্যত উপত্ব্য মর্ন্ত্য প্রেতম্। ধর্মং পুরাণমনু পালয়ন্তী তস্ম্যৈ প্রজাং দ্রবিণং চেহ ধেহি।। (ঋগ্বেদ ১০.১৮.৭-৮)
অর্থাৎ— হে মনুষ্য! এই স্ত্রী পুনর্বিবাহের আকাঙ্খা করিয়া মৃত পতির পরে তোমার নিকট আসিয়াছে। সে সনাতন ধর্মকে পালন করিয়া যাতে সন্তানাদি এবং সুখভোগ করতে পারে।
১৩/ স্বামীর মৃত্যুর পর বিধবাদের পুনরায় বিবাহ করার অনুমতি দিয়ে তৈত্তিরীয় আরন্যক এ বলা হয়েছে (৬.১.১৪ )
“হে নারী! তুমি এই মৃতপতির মায়ায় আবদ্ধ হয়ে আছো।এই মায়াত্যগ কর। পুনরায় পতি কামনা করো এবং পাণিগ্রহনকারী (নতুন পতি) বিবাহের অভিশাষী এই পতিকে জায়াত্বের সহিত প্রাপ্ত হও”
অর্থাত্ এখানে স্বামীমৃত্যুর পর স্ত্রীকে শোকে মুহ্যমান না হতে,শোকত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে বলা হয়েছে এবং প্রয়োজনে পুনরায় বিবাহ করার অনুমতি দিয়েছে।
👉যত্র নার্য্যস্তু পূজ্যন্তে রমন্তে তত্র দেবতাঃ।
যত্রৈতাস্তু ন পূজ্যন্তে সর্বাস্তত্রাফলাঃ ক্রিয়াঃ।। (মনুসংহিতা ৩/৫৬)
অর্থাৎ“যে সমাজে নারীদের যথাযথ শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করা হয় সেই সমাজ উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি লাভ করে। আর যারা নারীদের যোগ্য সম্মান করে না, তারা যতই মহৎ কর্ম করুক না কেন, তার সবই নিষ্ফল হয়ে যায়।”
এটি নারীদের প্রতি কোন চাটুকারিতা বা তোষামদি নয়। এটি এমন একটি সত্য যা নারীবিদ্বেষীদের কাছে বিষের মতো, আর নারীশক্তির মহিমা কীর্তনীয়াদের কাছে অমৃতস্বরূপ। প্রকৃতির এই নিয়ম পরিবার, সমাজ, ধর্মগোষ্ঠী, জাতি বা সমগ্র মানবতার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। যারা মনুস্মৃতিকে দোষারোপ করেন, তারা কখনোই এই শ্লোকের উদ্ধৃতি দেন না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধুমাত্র হিন্দুধর্ম সম্পর্কে কুৎসা প্রচারই তাদের একমাত্র কাজ। নিরপেক্ষ বিচার তাদের কাছে নেই। যেমন নিচের চমৎকার শ্লোকগুলোর কথা কোন হিন্দুধর্মের সমালোচক উল্লেখ করেন না:
👉👉 একজন পিতা, ভাই, পতি বা দেবর তাদের কন্যা, বোন, স্ত্রী বা ভ্রাতৃবধুকে মৃদুবাক্য, ভদ্র ব্যবহার ও উপহারাদি দ্বারা খুশি ও সন্তুষ্ট রাখবেন। যারা যথার্থ কল্যাণ ও উন্নতি চান, তারা নিশ্চিত করবেন যে, তাদের পরিবারের নারীরা যাতে সর্বদা খুশী থাকেন এবং কখনো দুর্দশা ভোগ না করেন”। (মনুসংহিতা ৩/৫৫)
👉👉যে বংশে ভগিনী ও গৃহস্থের স্ত্রী (নারীকূল) পুরুষদের কৃতকর্মের জন্য দুঃখিনী হয়, সেই বংশ অতি শীঘ্র ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আর যে বংশে স্ত্রীলোকেরা সন্তুষ্ট থাকে, সেই বংশ নিশ্চিতভাবেই শ্রীবৃদ্ধি লাভ করে”। (মনুসংহিতা ৩/৫৭)
ভেবে দেখুন, পরিবারের সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির জন্য এর চেয়ে বড় কথা আর কি হতে পারে? এখানে পুরুষতান্ত্রিকতা চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। নারীকে সর্বদা সুখী রাখতে হবে -এটাই মহর্ষি মনুর নির্দেশ।
👉👉যে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট রাখে না, সে তার সমগ্র পরিবারের জন্য দুর্দশা বয়ে আনে। আর যদি স্ত্রী পরিবারের প্রতি সুখী থাকেন, তবে সমগ্র পরিবার শোভাময় হয়ে থাকে।” (মনুসংহিতা ৩/৬২)
👉👉যে বংশকে উদ্দেশ্য করে ভগিনী, পত্নী, পুত্রবধূ প্রভৃতি স্ত্রীলোকেরা অনাদৃত, অপমানিত বা বৈষম্যের শিকার হয়ে অভিশাপ দেন, সেই বংশ বিষপান করা ব্যক্তি ন্যায় ধন-পশু প্রভৃতির সাথে সর্বতোভাবে বিনাশপ্রাপ্ত হয়।” (মনুসংহিতা ৩/৫৮)
👉👉 পুরুষতান্ত্রিক যে সমাজে নারীনির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার, নারীকে যথেচ্ছা সম্ভোগ, প্রহার বা তাড়িয়ে দেওয়ার বিধানও যে সমাজ অনুমোদন করে, সেই সমাজ যে ক্রমেই বিনাশপ্রাপ্ত হবে -এটাই তো স্বাভাবিক। বিশ্বের প্রতিটি নারীর ব্যক্তিগত জীবনের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সর্বাঙ্গীন মঙ্গলের লক্ষ্যে, নারীর অপমান ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে মহর্ষি মনু যে দৃপ্ত বাণী উচ্চারণ করেছেন, তাতে তো মনুকে বরং কট্টর নারীবাদী বলেই মনে হয়, তাই না?
“যারা ঐশ্বর্য কামনা করে, তারা স্ত্রীলোকদের সম্মান প্রদর্শন দ্বারা খুশী রাখবে এবং উত্তম অলংকার, পোশাক ও খাদ্যদ্বারা প্রীত রাখবে। স্ত্রীজাতিকে সর্বদা পবিত্র হিসেবে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করবে।” (মনুসংহিতা ৩/৫৯)
শ্লোকটিকে খুব নারীবাদী মনে হতে পারে, তবে মহর্ষি মনু মোটেও পুরুষতান্ত্রিক বা নারীবাদী কোনটাই নন, তিনি মানবতাবাদী। মনে রাখবেন ‘মনু’ শব্দ থেকেই ‘মানব’ ও ‘মানবতা’ শব্দের উৎপত্তি।
👉👉স্ত্রী লোকেরা সন্তানাদি প্রসব ও পালন করে থাকে। তারা নতুন প্রজন্ম বা উত্তরসুরির জন্ম দেয়। তারা গৃহের দীপ্তি বা প্রকাশস্বরূপ। তারা সৌভাগ্য ও আশীর্বাদ বয়ে আনে। তারাই গৃহের শ্রী।” (মনুসংহিতা ৯/২৬)
আজও ভারতবর্ষে মহর্ষি মনুর এই শ্লোক থেকেই শিক্ষা নিয়ে মেয়েদের ‘ভাগ্যশ্রী’, ‘ঘরের লক্ষ্মী’ বা ‘গৃহলক্ষ্মী’ বলা হয়।
👉👉প্রজন্ম থেকে প্রজন্মোন্তরে স্ত্রীরাই সকল সুখের মূল। কারণ, সন্তান উৎপাদন, ধর্ম পালন, পরিবারের পরিচর্যা, দাম্পত্য শান্তি এসব কাজ নারীদের দ্বারাই নিষ্পন্ন হয়ে থাকে।” (মনুসংহিতা ৯/২৮)
অন্যকথায়, মাতৃরূপে, কন্যারূপে, স্ত্রীরূপে, ভগ্নীরূপে কিংবা ধর্মকর্মে অংশীদাররূপে নারীরাই সকল কল্যাণের মূল উৎস বলে মহর্ষি মনু প্রতিপাদন করেছেন।
👉👉পতি ও পত্নী মৃত্যু পর্যন্ত একসাথে থাকবেন। তারা অন্য কোন জীবনসঙ্গী গ্রহণ করবেন না বা ব্যাভিচার করবেন না। এই হলো নারী-পুরুষের পরম ধর্ম।” (মনুসংহিতা ৯/১০১)
👉👉নারী ও পুরুষ একে ভিন্ন অপরে অসম্পূর্ণ। এজন্য বেদে বলা হয়েছে ধর্মকর্ম পত্নীর সাথে মিলিতভাবে কর্তব্য”। (মনুসংহিতা ৯/৯৬)
এই শ্লোকটির কথা একবার ভেবে দেখুন। নারী ছাড়া পুরুষ অসম্পূর্ণ একথা শুধুমাত্র হিন্দুধর্মই বলে থাকে। নারী ছাড়া পুরুষের ধর্মকর্ম সম্পূর্ণ হয় না। বৈদিক যজ্ঞ ও ধর্মপালন স্বামী-স্ত্রী যুগ্মভাবে করতে হয়, কেউ একাকী করতে পারেন না। একারণেই নারীকে বলা হয় পুরুষের ‘অর্ধাঙ্গিনী’ ও ‘সহধর্মিনী’। উল্লেখ্য, মনুসংহিতাই একমাত্র ধর্মশাস্ত্র যেখানে এই বিখ্যাত কথা দুইটি অনুমোদন করা হয়েছে। সঙ্গত কারণেই হিন্দুধর্মে বিবাহবিচ্ছেদ এবং বহুবিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এবার নারীদের স্বাতন্ত্রের কথায় আসা যাক। স্মর্তব্য, স্বাধীনতা মানে উচ্ছৃঙ্খলা নয়, স্বাতন্ত্র্য মানেই ঔদ্ধত্য নয়।
👉👉যে স্ত্রী দুঃশীলতা হেতু নিজে আত্মরক্ষায় যত্নবতী না হয়, তাকে পুরুষগণ ঘরে আটকে রাখলেও সে ‘অরক্ষিতা’ থাকে। কিন্তু যারা সর্বদা আপনা-আপনি আত্মরক্ষায় তৎপর, তাদের কেউ রক্ষা না করলেও তারা ‘সুরক্ষিতা’ হয়ে থাকে। তাই স্ত্রীলোকদের আটকে রাখা নিষ্ফল। স্ত্রীজাতির নিরাপত্তা প্রধানত তাদের নিজস্ব সামর্থ্য ও মনোভাবের উপর নির্ভরশীল।” (মনুসংহিতা ৯/১২)
এই শ্লোকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, নিরাপত্তার নামে নারীকে ঘরে আটকে রাখা নিষ্ফল। বিপরীতক্রমে তাকে নিরাপদ রাখতে হলে তাকে অধিকার দিতে হবে এবং সঠিক শিক্ষা-দীক্ষা প্রদান করতে হবে। নারীর সামর্থ্য ও প্রজ্ঞা বৃদ্ধি করতে হবে, মানবিক বিকাশ সাধনে তৎপর হতে হবে, যার ফলশ্রুতিতে তারা যেন আত্মরক্ষায় তৎপর থাকেন, নিজেদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। নারী জাতি সম্পর্কে এই হলো মহর্ষি মনুর মতাদর্শ।এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয় যে আমাদের গৌরবের এমন ইতিহাসের ভিত্তি থাকা সত্ত্বেও আমাদের নারীরা চার দেয়ালের মাঝে অত্যাচারিত হয় নয়তো লম্পটের লালসার স্বীকার হয়। আমরা যদি আমাদের মা-বোনদের সম্ভ্রম রক্ষার দ্বায়িত নেবার পরিবর্তে আমরাই যদি নারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি অথবা আক্রমণকারীদের প্রতিহত না করি তাহলে আমাদেরকে সাহায্য করতে আসবে!
👉👉নারী অপহরণকারীদের মৃত্যুদণ্ড হবে।” (মনুসংহিতা ৮/৩২৩)
👉👉যারা নারী, শিশু ও গুণবান পণ্ডিতদের হত্যা করে, তাদের কঠিনতম শাস্তি দিতে হবে।” (মনুসংহিতা ৯/২৩২)
👉👉যারা নারীদের ধর্ষণ করে বা উত্যক্ত করে বা তাদের ব্যাভিচারে প্ররোচিত করে তাদের এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে তা অন্যদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে এবং কেউ তা করতে আর সাহস না পায়।” (মনুসংহিতা ৮/৩৫২)
ইভটিজিং এখন প্রধান একটা সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে, যার বিরুদ্ধে কঠোর কোন শাস্তির ব্যবস্থা নেই। কিন্তু ইভটিজিং, অপহরণ ও ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান কিন্তু সেই মনুর যুগ থেকেই প্রচলিত ছিল।
👉👉যদি কেউ মা, স্ত্রী বা কন্যার নামে মিথ্যা দোষারোপ করে তবে তাকে শাস্তি দিতে হবে।” (মনুসংহিতা ৮/২৭৫)
অথচ নারীকে এই মিথ্যা দোষারোপ করেই প্রতিবছর হাজার হাজার নারীকে ‘অনার কিলিং’ করা হয়। অর্থাৎ হিন্দুধর্মের বিপরীত বিধানও অনেক সমাজে প্রচলিত আছে।
👉👉যদি কেউ কোন ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া মা, বাবা, স্ত্রী বা সন্তান ত্যাগ করে, তাকে কঠিন দণ্ড দিতে হবে।” (মনুসংহিতা ৮/৩৮৯)
👉👉যদি কোন নারীকে সুরক্ষা দেবার জন্য পুত্র বা কোন পুরুষ পরিবারে না থাকে, অথবা যদি সে বিধবা হয়ে থাকে, যে অসুস্থ অথবা যার স্বামী বিদেশে গেছে, তাহলে রাজা তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন। যদি তার সম্পত্তি তার কোন বন্ধু বা আত্মীয় হরণ করে, তাহলে রাজা দোষীদের কঠোর শাস্তি দেবেন এবং সম্পত্তি ঐ নারীকে ফেরত দেবেন।” (মনুসংহিতা ৮/২৮-২৯)
👉👉নববিবাহিতা বধূ, কন্যা এবং গর্ভবতী মহিলাদের অতিথি ভোজনের পূর্বেই ভোজন প্রদান করতে হবে।” (মনুসংহিতা ৩/১১৪)
👉👉বাহনে বা যানে আরোহী ব্যক্তির পক্ষে বয়স্ক ব্যক্তি, ক্লান্ত ব্যক্তি, ভারবাহী ব্যক্তি, বর, রাজা, স্নাতক এবং স্ত্রীলোকদের পথ ছেড়ে দেয়া কর্তব্য।” (মনুসংহিতা ২/১৩৮)
👉👉 অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায়, স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনায়, আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন, পুষ্টি এবং গৃহের সকল প্রকার ব্যবস্থাপনায় নারীদের স্বায়ত্তশাসন ও কর্তৃত্ব প্রদান করতে হবে। (মনু স্মৃতি: ৯.১১)
এই শ্লোকের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, যারা মনে করত যে কোনো বৈদিক ধর্মকর্ম নারীরা করতে পারবে না তা সম্পূর্ণ ভুল ও মিথ্যা ধারণা পোষণকারী। উপরন্তু নারী পুরুষ উভয়কেই এই ধর্মীয়নুষ্ঠান পালন করতে হবে। তাই যারা দাবি করে অথবা পরামর্শ দেয় যে নারীদের বেদ অধ্যায়ন ও চর্চা করার অধিকার নেই তারা মনু ও বেদ বিরোধী। এই ধরনের অন্ধ গোঁড়ারা জাতীর দুঃখ দুর্দশার কারণ। তাই আমরা এই ধরনের মনোভাবকে কখনোই প্রশয় দেব না যা নারীদের হেয় করে।
👉👉 এমনকি দুর্বল স্বামীকেও তার স্ত্রীকে রক্ষা করার চেষ্টা করতে হবে।(মনু স্মৃতি: ৯.৬)
👉👉নারী সর্বদা সকল প্রকার অসচ্চরিত্রতা, অনৈতিকতা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবে। কারণ নারী যখন চরিত্র হারায় তখন পুরো সমাজ ধ্বংস হয়ে যায়।(মনু স্মৃতি: ৯.৫)
👉👉 একজন নারীকে সর্বদা নিশ্চিত হতে হবে যে সে নিরাপদে আছে। তাকে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদান করার দ্বায়িত তার পিতা, স্বামী ও পুত্রের উপর বর্তায়।(মনু স্মৃতি: ৫.১৪৯)
লক্ষ্য করে দেখুন এখানে নিরাপত্তা বলতে কিন্তু বন্দি বা চার দেয়ালের মাঝে আবদ্ধ করে রাখার কথা বলা হচ্ছে না।
👉👉 কোনো অযোগ্য ব্যক্তির কাছে জোরপূর্বক বিবাহ না দিয়ে বরং কন্যাকে অবিবাহিত রাখাই শ্রেয়।(মনু স্মৃতি: ৯.৯৮)
👉👉প্রাপ্তবয়ষ্ক হবার পরে নারী তার নিজের জীবন সঙ্গী নিজে পছন্দ করে বেছে নিতে পারবে। যদি তার পিতা-মাতা তার জন্য যোগ্য পাত্র সন্ধানে ব্যর্থ হয় তাহলে সে নিজেই নিজের পাত্র বেছে নেবে। তাই কন্যার জীবন সঙ্গী নির্ধারণ করবে তার পিতামাতা এই ধারণা মনু বিরুদ্ধ, একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক নারীর পূর্ণ অধিকার রয়েছে তার জীবনসঙ্গী বেছে নেবার। পিতামাতা বিবাহের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকারী নয়।(মনু স্মৃতি: ৯.৯০-৯১)
👉👉 একজন কন্যা একজন পুত্রের সমতুল্য। তার বর্তমানে কিভাবে সম্পত্তির উপর তার অধিকার কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে।(মনু স্মৃতি: ৯.১৩০)
👉👉মায়ের ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর কেবল শুধুমাত্র কন্যারই অধিকার আছে।(মনু স্মৃতি: ৯.১৩১)
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, মনুর মতে একজন কন্যার পিতার সম্পত্তির উপর তার ভাইয়ের মতো সমান অধিকার আছে এবং তার মায়ের সম্পত্তির উপর শুধুমাত্র তারই অধিকার আছে অন্য কারো নয়।
নারীর প্রতি এই বিশেষ ব্যবস্থার কারণ হচ্ছে যাতে করে নারী কোনো অবস্থায় অন্যের উপর নির্ভর করতে না হয়। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সুখী আলোকিত নারীকূলই সুখী সমাজের ভিত্তি গড়ে দেয়।
👉👉 যদি কোনো ব্যাক্তির স্ত্রী অথবা সন্তান না থাকে তাহলে তার সম্পত্তি তার ভাই-বোনদের মাঝে সমান ভাগে ভাগ করে দেবে। যদি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা তার ভাই বোনদের মাঝে প্রাপ্য অংশ প্রদান করতে অস্বীকৃত জানায় তাহলে আইন অনুযায়ী সে শাস্তি পাওয়ার যোগ্য।
নারীর সুরক্ষা বিধান নিশ্চিত করার জন্য মনু আরও কঠোরতর শাস্তি বিধানের পরামর্শ দিয়েছেন তাদের উপর যারা নারীর সম্পত্তি হনন করার চেষ্টা করবে, এমনিকি সে তাহার নিকট আত্মীয় হলেও তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।(মনু স্মৃতি: ৯.২১২-২১৩)
এই মানবিক ভদ্রতা জ্ঞানটুকু আর কোন শাস্ত্রে আছে? Ladies First তত্ত্বটা কিন্তু তাহলে বিদেশী নয়, বরং ভারতীয় রীতি বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
ভেবে দেখুন, পথে-ঘাটে যত অনাথ শিশু দেখেন, যত নিশিকন্যা দেখেন, যত পিতৃ-মাতৃতুল্য বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাকে হাত পেতে ভিক্ষা করতে দেখেন, তাদের মাঝে কতজনকে আপনি হিন্দু দেখেছেন? হিন্দুদের মানবিক মূল্যবোধ অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয় কি? নিজেই বিচার করুন।
এমন আরো তথ্য জানতে Bengal Hindu এর সাথেই থাকুন।
এছাড়া আমাদের অনুপ্রানিত করার জন্য দয়াকরে নিচের এই "ads" এ একটি ক্লিক করে দিবেন।