শঙ্খ বাজানো ও স্পিরোমিটার এর সাথে সম্পর্ক কি?
স্পিরোমিটারঃ
বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম হলো এই স্পিরোমিটার। এটি ফুসফুস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বায়ুর পরিমাণ পরিমাপের জন্য একটি স্পিরোমিটার একটি সরঞ্জাম। একটি স্পিরোমিটার বায়ুচলাচল পরিমাপ করে, ফুসফুসের মধ্যে এবং বাইরে বাতাসের চলাচল করে। স্পিরোগ্রামটি দুটি ভিন্ন ধরণের অস্বাভাবিক বায়ুচলাচল নিদর্শনগুলি সনাক্ত করতে পারে, বাধা এবং প্রতিরোধী। বিভিন্ন ধরণের স্পিরোমিটার রয়েছে যা পরিমাপের জন্য বিভিন্ন ধরণের পদ্ধতি ব্যবহার করে (চাপ ট্রান্সডুসার, অতিস্বনক, জল গেজ)।
স্পিরোমিটারের কাজঃ
১) নির্দিষ্ট ধরণের ফুসফুসের রোগ নির্ণয় করা (যেমন কোভিড, ব্রোঙ্কাইটিস এবং এম্ফিজিমা)।
২) শ্বাসকষ্টের কারণ খুঁজুন কারণ কর্মস্থলে রাসায়নিকের সংস্পর্শে ফুসফুসের কার্যকারিতা প্রভাবিত করে কিনা তা মাপা যায়।
৩) কারো সার্জারি করার আগে ফুসফুসের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে।
৪) ওষুধের প্রভাব মূল্যায়ন করে।
৫) রোগের চিকিৎসার অগ্রগতি পরিমাপ করে।
শঙ্খবাজানোঃ
হিন্দু ধর্মে দেব-দেবীর আরাধনার পাশাপাশি, পুজোয় ব্যবহৃত সামগ্রীরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পুজোয় ফুল, প্রদীপ, প্রসাদ, গঙ্গাজল, সিঁদুর, রোলী ও শঙ্খ অবশ্যই ব্যবহার করা হয়। পুজোর সময় শঙ্খনাদ শুভ মনে করা হয়। বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর হাতে শঙ্খ সুশোভিত থাকে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, যে বাড়িতে শঙ্খ থাকে না, সেখানে লক্ষ্মী বাস করেন না। রোজ শঙ্খ বাজালে বাড়ির নেগেটিভ এনার্জি দূর হয় ও পজিটিভ এনার্জির সঞ্চার হয়।
এখানে জানুন শঙ্খ বাজানোর নিয়ম ও লাভঃ
১) শঙ্খ বাজালে ফুসফুস মজবুত হয়। এর ফলে ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ কম হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত রোগ দূর করার জন্য শঙ্খ অবশ্যই বাজানো উচিত।
২) যাঁরা আটকে আটকে কথা বলেন, কথাবার্তা জড়িয়ে যায় বা যাঁরা তোতলা, তাঁদের নিয়মিত শঙ্খ বাজানো উচিত। শঙ্খ বাজালে ব্যক্তির গলার ব্যয়াম হয় এবং তোতলানোর সমস্যা দূর হয়।
৩) আবার পুজোর সময় নিয়মিত শঙ্খ বাজালে হৃদরোগের সম্ভাবনা কমে যায়। এতে শিরার ব্লকেজ খুলে যায়।
৪) মুখমন্ডলের ব্যয়ামের জন্যও শঙ্খ বাজানো ভালো, এতে মুখের ত্বক উজ্জ্বল হয় ও বলিরেখাও কমে যায়।
পুজোর সময় শঙ্খের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই নিয়মের পালন অবশ্যই করবেন:
১) সকাল ও সন্ধ্যায় শঙ্খ বাজানো উচিত। বাড়িতে একের বেশি শঙ্খ রাখবেন না।
২) কখনও অন্য ব্যক্তির সঙ্গে শঙ্খ বদল করবেন না।
৩) শঙ্খ বাজানোর পর, তা জল দিয়ে পরিষ্কার ও শুদ্ধ করা উচিত।
এখন নিজেই বিচার করে দেখুন হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের সংস্কৃতিতে চলে আসা শঙ্খ বাজানো তা কেবল নিয়মানুযায়ী করতে হয় তাই করা; তা নয়। এর পিছনে রয়েছে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা। সনাতনী সংস্কৃতি এবং রীতিনীতিকে অনেকে কুসংস্কার মনে করে। ঈশ্বর মানব কল্যানের জন্য ধর্মের মধ্য দিয়ে মানুষের উপকার হয় এমন নিয়ম তৈরী করে দিয়েছে। যা ধর্ম পালনের মধ্যে আমাদের উপকার হয় কল্যান হয় এবং আমরা সুস্থ থাকতে পারি।
-----------------------------
যারা মহাভারত বাংলা সিরিয়াল , এছাড়াও মুভি দেখতে পছন্দ করেন তারা Movies XYZ ঘুরে আসতে পারেন।