সবাই বলে তাজমহল আমি বলি তেজোমহালয়া শিব মন্দির - কৃত্তিবাস কাশীরাম
সবাই বলে 'তাজমহল' আমি বলি 'তেজোমহালয়া' শিব মন্দির। তাজমহলের ছবিগুলো যদি একটু ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, তাহলে দেখতে পাবেন - ঐ স্থাপনার চূড়ায় যে ত্রিশূলটা রয়েছে, সেটা অপসারণ করা হয়নি। তাজমহল যে হিন্দু মন্দির - সেটা ভারতীয়রা জানতো না। একজন মার্কিন গবেষক তাজমহল নিয়ে গবেষণা করতে এসে- এই তথ্য প্রকাশ করেন। তখন ক্ষমতায় ইন্দিরা গান্ধী। ভারতীয় জে*হাদী-ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবক্তা ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস সরকার, সেই মার্কিন গবেষকের যাবতীয় গবেষণাপত্র বাজেয়াপ্ত করে এবং তাকে ভারত থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।
সেই বিষয়টা নিয়ে আমি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম। তখন মুসলমানরা যা বলার তো বলেছেই, হিন্দুরা পর্যন্ত আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। কেননা আমি ইন্দিরা গান্ধী ও তার ধর্মনিরপেক্ষতার সমালোচনা করেছিলাম। বাংলাদেশের হিন্দুদের কাছে ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন 'দেবী দুর্গা'। আমি তখন তাদের বলেছিলাম, শাহজাহানরা যে দেশ থেকে এসেছে, সেই উজবেকিস্তান, তুরস্ক বা আরব-মুলুকে কোন ইসলামী স্থাপত্য নেই কেন? সেখানকার সমস্ত স্থাপত্যই তো ইহুদী, নাছারা(খ্রিস্টান) ও মুশরিক(পৌত্তলিক)- দের সৃষ্টি। যারা নিজেদের দেশে কোন স্থাপত্য নির্মাণ করেনি, তারা উপনিবেশ ভারত-এ স্থাপত্য নির্মাণ করবে কেন? কাফেরদের সৃষ্ট স্থাপত্য সমূহকে ইসলামী স্থাপত্য বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন?
সে যাই হোক, এখন নরেন্দ্র মোদির জামানায় তাজমহলের ২২টি বন্ধ কক্ষ খুলে দিলে অসুবিধা কোথায়? তাজমহলের ২২টি বন্ধ কক্ষ থেকে লুকিয়ে রাখা হিন্দু দেবদেবীর বিগ্রহ বের হয়ে আসবে - এই ভয়ে?
যদিও ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে, নরেন্দ্র মোদি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন - তার সবচেয়ে প্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইন্দিরা গান্ধী। এরপর একটি মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রদত্ত বৈঠকে নরেন্দ্র মোদি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন : প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতাকে সমুন্নত রাখা।
কিন্তু প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা আর ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতা এক নয়। ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতা হচ্ছে - ভারত রাষ্ট্রটিকে ধীরে ধীরে গ্রেটার পাকিস্তান এ রূপান্তরিত করার এক সুদুরপ্রসারী নীলনকশা। যার প্রমান, ভারতের প্রতিটি আদমশুমারি রিপোর্টেই দেখবেন, হিন্দু জনসংখ্যা হার কমছে এবং সমানুপাতিক হারে বাড়ছে পাকিস্তানপন্থীদের জনসংখ্যা হার। এ বিষয়ে আমি আর কথা বাড়াতে চাইনা, কেননা ব্রিটিশরা এসে হিন্দুদের জন্য একটা রাষ্ট্র বানিয়ে দিয়ে গিয়েছিল। হিন্দুদের অযোগ্যতা ও ব্যর্থতা - তারা নিজেদের রাষ্ট্র অতীতে স্বাধীন রাখতে পারে নি, ভবিষ্যতে এই জাতি রাষ্ট্রহীন হয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
সম্রাট শাহজাহান 'তেজোমহালয়া' শিব মন্দিরটিকে তাজমহলে রূপান্তরিত করেছিলেন। শাহজাহানের সুযোগ্য পুত্র সম্রাট আওরঙ্গজেব, সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্বশ্রেষ্ঠ তীর্থস্থান কাশীর 'বিশ্বনাথ মন্দির' ভেঙে 'জ্ঞানবাপী মসজিদ' তৈরি করেছিলেন। এখন সেই মসজিদের অজুখানা থেকে বের হয়ে এসেছে বিশাল শিবমূর্তি। এবং সঙ্গে সঙ্গে সেই স্থান সিল করে দেওয়া হয়েছে। নিকুচি করি ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষতার!