বেদে নারীর অবস্থান অত্যন্ত গর্বের সাথে বর্ণনা করা হয়েছে | The position of women in the Vedas | Warrior
বেদে নারীর অবস্থান অত্যন্ত গর্বের সাথে বর্ণনা করা হয়েছে। বৈদিক (সনাতনী) নারী একজন দেবী, একজন পণ্ডিত, আলোয় পূর্ণ, একজন নায়িকা, একজন বীরের জননী, একজন আদর্শ মা, একজন বিবেকবান স্ত্রী, একজন গুণী গৃহিণী, একজন গৃহের রাণী, একজন সন্তানের প্রথম শিক্ষক, একজন শিক্ষিকা।অধ্যাপিকা হয়ে কন্যাদের সদাচার এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের শিক্ষা প্রাদানকারী। তিনিই জ্ঞান ও বিজ্ঞান শেখান, শিক্ষক হন এবং সবাইকে সঠিক পথ দেখান, তিনিই সীমা মেনে চলেন, তিনিই সত্য ও ভালোবাসার আলো ছড়িয়ে দেন। যদি সে গুণ-কর্ম অনুসারে ক্ষত্রিয় হয়, তবে ধনুর্বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে সেও জাতি রক্ষায় অংশ নেয়। যদি তার মধ্যে একজন বৈশ্যের গুণ থাকে, তবে সে উচ্চ মানের কৃষি, পশুপালন, বাণিজ্য ইত্যাদিতেও অবদান রাখে এবং কারিগরেও উন্নতি করে। বাড়ির পুরো আয়োজনের দায়িত্ব তার। বৈদিক নারী তথা আর্য্যাবর্ত্তের নারী প্রশংসার যোগ্য, আনন্দদায়ক, আহ্বানের যোগ্য, গুণী, বিখ্যাত।
বৈদিক সনাতনী নারীদের অবদান তুলে ধরা হলো ছবি চিত্রে
The position of women in the Vedas is described with great pride. Vedic (Sanatani) woman is a goddess, a scholar, full of light, a heroine, mother of a hero, an ideal mother, a conscientious wife, a virtuous housewife, a queen of the house, the first teacher of a child, a teacher. Provider of science education. He is the one who teaches knowledge and science, becomes a teacher and shows the right path to everyone, he is the one who follows the limits, he is the one who spreads the light of truth and love. If he is a Kshatriya according to merit, then he also becomes an expert in archery and takes part in the defense of the nation. If he has the qualities of a Vaishya, he also contributes to high quality agriculture, animal husbandry, trade, etc. and also improves the craftsmanship. He is responsible for arranging the whole house. Vedic women i.e. Aryavarta women are worthy of praise, delightful, worthy of call, virtuous, famous.
ন জাময়ে তান্বো রিক্থমারৈক্চকার গর্ভং সনিতুর্নিধানম্।
যদী মাতরো জনযন্ত বহ্ণিমত্যঃ কর্তা সূকৃতোরন্য ঋন্ধন্।।
(ঋগ্বেদ (৩.৩১.২)
এই মন্ত্রে ছেলে ও মেয়ে সন্তানের সম্পত্তির উত্তরাধিকারের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। একটি পিতামাতার যদি শুধু মেয়ে সন্তান থাকে তবে পিতৃসম্পত্তির সম্পূর্ণ ভাগটাই সে পাবে, আর যদি তার ভাই থাকে তাহলে দুজনের মধ্যে তা সমানভাবে ভাগ হবে, কোনভাবেই তা এককভাবে শুধু পুত্রসন্তান পাবেনা। আর পিতা-ভ্রাতাদের কর্তব্য হল কন্যাকে বিয়ের আগেই শিক্ষা-কৃষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসেবে গড়ে তোলা। একজন পুত্রের কাজ সংসারের দায়িত্বভার নেয়া আর একজন কন্যাসন্তানকে পিতামাতার জন্য পবিত্রতা ও গুণের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ নারীরা করতে পারবেন না কেননা একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী অনাগত সন্তানের মঙ্গল কামনায় যে শ্রাদ্ধ করেন তাই হল বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ। সুতরাং নারীর এই শ্রাদ্ধ করতে পারার কোন কারণ নেই!
বিখ্যাত তামিল ঐতিহাসিক গ্রন্থ পুরুনানুরুতে আমরা দেখতে পাই লেখক ভেল্লেরুক্কিলাইয়ার বর্ণনা দিচ্ছেন রাজা ভেলেব্বির মৃত্যুতে রানীর পিণ্ডদানের কথা। শাস্ত্রমতে একজন ব্যক্তির যেসকল আত্মীয়রা শ্রাদ্ধ করতে পারেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ছেলে, মেয়ে, ছেলের ছেলে, মেয়ের ছেলে, স্ত্রী, বাবা, মা, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, গুরু, শিষ্য।
‘মহাবীর তন্ত্র’ এর দশম অধ্যায়ে বলা হয়েছে-
“নারীরা সকল ধরনের শ্রাদ্ধ করতে পারবে কেবলমাত্র বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ ব্যতীত।”বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ নারীরা করতে পারবেন না কেননা একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী অনাগত সন্তানের মঙ্গল কামনায় যে শ্রাদ্ধ করেন তাই হল বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ। সুতরাং নারীর এই শ্রাদ্ধ করতে পারার কোন কারণ নেই!
বিখ্যাত তামিল ঐতিহাসিক গ্রন্থ পুরুনানুরুতে আমরা দেখতে পাই লেখক ভেল্লেরুক্কিলাইয়ার বর্ণনা দিচ্ছেন রাজা ভেলেব্বির মৃত্যুতে রানীর পিণ্ডদানের কথা। শাস্ত্রমতে একজন ব্যক্তির যেসকল আত্মীয়রা শ্রাদ্ধ করতে পারেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ছেলে, মেয়ে, ছেলের ছেলে, মেয়ের ছেলে, স্ত্রী, বাবা, মা, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, গুরু, শিষ্য।
অর্থাৎ যেহেতু ওই ব্যক্তির মেয়ের পিণ্ডদানের অধিকার আছে তাই দায়ভাগ শাখায় মেয়েদের পৈতৃক সম্পত্তি লাভের সুযোগ রয়েছে।
( ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন )
(If you like it, be sure to share it with your friends)
- ঘোষা(ঋগ্বেদ দশম মন্ডলের ৩৯-৪১ নং সুক্তের দ্রষ্টা,ঋষি কক্ষিবান এর কন্যা)
- লোপামুদ্রা
- মৈত্রেয়ী
- গার্গী
- পৌলমি
- রোমশা
- অপালা
- বাক (ঋগ্বেদের বিখ্যাত দেবীসূক্তের দ্রষ্টা),
- অপত
- কত্রু
- বিশ্ববর
- জুহু
- ভগম্ভ্রীনি (মহর্ষি অম্ভ্রন এর কন্যা, ঋগ্বেদের অষ্টম মন্ডলের ১২৫ নং সুক্তের দ্রষ্টা)
- যরিতা
- শ্রদ্ধা
- উর্বশী
- স্বর্ণগা
- ইন্দ্রানী
- সাবিত্রী
- দেবায়নী
- নোধা
- আকৃষ্ভাষা
- শীকাতনবাবরি
- গণ্পায়নী
- মন্ধত্রী
- গোধ
- কক্ষিবতী
- দক্ষিণা
- অদিতি
- রাত্রি(মহর্ষি ভরদ্বাজের কন্যা)
- শ্রীলক্ষ্য
পৃথিবীর আর কোন ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থে নারীদের এমন ভূমিকা দেখা যায় না। একমাত্র পবিত্র বেদেই পাওয়া যায় নারীদের এমন অসাধারণ অবদান। আর পৃথিবীর অন্যান্য সব ধর্মগ্রন্থে পুরুষদের ভূমিকাই পাওয়া যায় কেবল।
Traditional religion is the only religion in the world which has a significant number of female sages among the sages who are the seers of the main scriptures of the holy Vedas.
- Ghosha (Seer of Sukta No. 39-41 of Rigveda Dasham Mandal, daughter of Rishi Kakshiban)
- Lopamudra
- Maitreyi
- Gargi
- Paulmi
- Romsha
- Apala
- Bak (seer of the famous Rigvedic deity),
- Apat
- Katru
- Worldwide
- Juhu
- Bhagavamrini (daughter of Maharshi Ambhran, viewer of sukta 125 of the eighth mandala of Rigveda)
- Yarita
- Respect
- Urvashi
- Gold
- Indrani
- Savitri
- Goddess
- Nodha
- Attractive language
- Shikatanbabri
- Ganpayani
- Mandhatri
- Godh
- Orbital
- South
- Aditi
- Ratri (daughter of Maharshi Bharadwaj)
- Srilakshya
No other religion or scripture in the world has such a role for women. Only in the Holy Veda can such an extraordinary contribution of women be found. And in all other scriptures of the world, the role of men is found only.
আমাদের সাইটের নাম পরিবর্তন করা হবে।