Translate

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের রিপোর্ট পেশ 2021 - Bengal Hindus

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের রিপোর্ট পেশ 2021 - Bengal Hindus

30/12/2021
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের রিপোর্ট পেশ 2021 - Bengal Hindus,২০২১ সালের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের রিপোর্ট পেশ,বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের রিপোর্ট,বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন,হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশে,২০২১


৩৬৫ দিনে কি পরিমাণ সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়েছে রিপোর্ট পেশ করছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মাননীয় মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। বাংলাদেশঃ২০২১ সালে ১৫২ জন খুন ২১৩০ টি প্রতিমা ভাংচুর ও ১৫১ জন হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে।
 
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে গত ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে হিন্দু নির্যাতন বেড়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে হিন্দু নির্যাতন বেড়েছে ব্যাপকভাবে। আবার ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে হিন্দু নির্যাতন বেড়েছে ব্যাপকভাবে।
 
  • হত্যাঃ ১৫২
  • হামলাঃ ১৮৯৮ টি
  • অপহরণঃ ১৫১
  • প্রতিমা ভাংচুরঃ ২১৩০
  • উচ্ছেদ / দেশত্যাগে বাধ্যকরনঃ ৯২৬১
  • চাঁদাবাজিঃ ৩ কোটি ২লাখ ৮ হাজার
  • নিরাপত্তাহীনতাঃ ১,২৩,৭২২ টি পরিবার
  • ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতঃ ২৭৮ টি
  • মিথ্যা মামলায় আসামীঃ ৪২৫ জন
  • লুটপাট, মন্দির ও পরিবারঃ ৩২৫৬ টি
  • মোট ঘটনাঃ ১৯১৪ টি
  • এককভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি,পরিবার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাঃ ১,৩৫,৯৪৮ টি
  • মোট ক্ষতির পরিমাণঃ ১১৪৫ কোটি ৯৭ লক্ষ ৯৫৯৯ টাকা।

আরও কিছু তথ্যঃ

'ঘরবাড়ী দখলের ঘটনা ঘটেছে ২২২টি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ১৫৩টি, মন্দিরের ভূমি দখল ৭৬টি, বসত বাড়ী থেকে উচ্ছেদ ৯৮০৯ টি পরিবার, যার বেশীরভাগ আদিবাসী ম্রো ও চাক সম্প্রদায়ের । উচ্ছেদের চেষ্টা ৪১৭৯১ টি পরিবার, উচ্ছেদের হুমকী ৮৯৪৩ পরিবার। দেশত্যাগের বাধ্যকরণ ৯২৬১টি পরিবার। দেশত্যাগে হুমকীর শিকার ১৩,৪৪৮ট পরিবার, নিরাপত্তাহীনতায় ১,২৩,৭২২ টি পরিবার। সংঘবদ্ধ হামলা ১৯০২টি। মন্দিরে হামলা, ভাংচুর ও অমনি সংযোগ ৪৭২টি, প্রতিমা ভাডুর ২১৩০টি, শ্রী শ্রী রাম ঠাকুর আশ্রমের বধুয়া সাজ লামের দোকানের ১২৩২ দেবদেবীর প্রতিমা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। প্রতিমা চুরি ৩২২টি, বাড়ীতে হামলা ভাংচুর অগ্নী সংযোগের ঘটনা ঘটেছে ২০৫৩টি। অপহরণ করা হয়েছে ১৫১ জনকে, অপহরনের চেষ্টা ০৯ জনকে। ২৯ জনকে ধর্ষন করা হয়েছে, গণধর্ষনের শিকার ১৪ জন। ধর্ষনের পর হত্যা ৬ জন। ৪৬ জনকে ধর্ষনের চেষ্টা হয়েছে, ৪১১ 'জনের অধিক নারী যৌন ও শারিরীক লাঞ্চার শীকায়। ৬০৯ জনকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। ধর্মান্তরের চেষ্টা ৭৩ জনকে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এর ঘটনা ঘটেছে ২৭৮ টি। মিথ্যা মামলায় আসামী, গ্রেফতার, বরখাস্ত, চাকুরীচ্যুত, জেল জরিমানার শিকার ৪২৫ জন, ১,১৩০ টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান 'অপবিত্রকরন ৩০৮টি, ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে বাধা ৪২০টি। ধর্মীয় নিষিদ্ধ গরুর মাংস খাইয়ে অপবিত্রকরন ৩২জনকে। 
২০২১ সালে ১৯১৪টি আলাদা ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি, পরিবার ও প্রতিষ্ঠান মন্দির ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে; যার সংখ্যা কমপক্ষে ১,৩৫,৯৪৮টি এবং ৬২৪৯ একর ২১ শতাংশ ভুমি হতে বেদখল করা হয়েছে। যার মধ্যে, দ্রো, ত্রিপুরা সাঁওতাল ও তথ্যদা আদিবাসীদের ২৮৮২.৩০ একর এবং এবং হিন্দুদের ৩২৯৭.৫১ শতাংশ জমি দখল হয়েছে। মোট ক্ষতির পরিমান ১,১৪৫ কোটি ৯৭ লক্ষ ৯.৫৯৯ টাকা।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের রিপোর্ট পেশ 2021 - Bengal Hindus,২০২১ সালের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের রিপোর্ট পেশ,বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের রিপোর্ট,বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন,হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশে,২০২১  বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের রিপোর্ট পেশ 2021 - Bengal Hindus,২০২১ সালের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতনের রিপোর্ট পেশ,বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের রিপোর্ট,বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন,হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশে,২০২১


বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় কখনোই স্বাধীনতার স্বাদ লাভ করে নাই। স্বাধীনতার পরপরই ঐতিহ্যবাহী রমনা কালি মন্দির ধ্বংস করা হয়েছে; যদিও তা এখন ভারতীয় অর্থে পুনঃ নির্মান হয়েছে। ১৯৭৪ সালে শত্রু সম্পত্তি অর্ডিনালকে পরিত্যাক্ত সম্পত্তি আইন নামে পাশ করে এদেশের ২৬ লক্ষ একর সম্পত্তি দখল করা হয়েছে। এর পর সংবিধান কেটে ছেটে সাম্প্রদায়িকীকরন করা হয়েছে।

প্রতিনিয়ত পবিত্র হিন্দু ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলেও হিন্দু ধর্ম নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে কাউকে শান্তি বিধান করা হয় নাই। উপরন্তু ফেসবুক হ্যাক করে মিথ্যা ওজব ছড়িয়ে শতাধিক হিন্দু যুবকযুবতীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শত শত ঘরবাড়ী পুড়িয়ে, মঠ মন্দির ধ্বংস করে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে পতিনিয়ত হিন্দুদের দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। ২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী নেক্কারজনক সহিংসতা নিয়ে সারা বিশ্বে বিবেকবান মানুষ ধিক্কার জানানেও সেই সমস্ত নির্যাতনকারী অপরাধীদের একজনকেও শান্তি দেয় নাই বিএনপি সরকার বা বর্তমান সরকার। 

হিন্দু সম্প্রদায় দীর্ঘদিন যাবৎ সংখ্যালঘু নির্ধাতন ও নিপিড়ন বন্ধে এবং সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে 

১। জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পূণঃ প্রতিষ্ঠা এবং 
২। একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠার দাবী করেছে। উক্ত দাবী দাওয়া বাস্তবায়নের দাবীতে হিন্দু সম্প্রদায় সারা দেশে ব্যপকচাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। কিন্ত বেদনার বিষয় সরকার দাবী দুটির প্রতি কর্ণপাত করে নাই। যে কারনে দিন দিন হিন্দু নির্যাতন বেড়েই চলেছে।


এমতাবস্থায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় আপনাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে'


১। হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সহিংসতা ও নির্যাতন নিরোধ কল্পে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পৃণঃ প্রতিষ্ঠা ও

২। সংখ্যালঘুবিষয়কমন্ত্রালয়গতিষ্ঠার দাবী জানাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায় আশা করে সরকার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরোক্ত দাবী দুটির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আগামী অধিবেশনে বিল পাশ করে এদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদির আশা আকাঙ্খা পুরন করবে।

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক - মহাসচিব

বাংলাদেশজাতীয় হিন্দু মহাজোট


Share করুন সবার সাথে
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

আপনাদের ক্লিক এই Website টি সচল রাখার অর্থ যোগাবে।