কেন্দুয়ায় লোকনাথ বাবার দৃষ্টি নন্দন মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেন নরেশ বিশ্বশর্শা | Bengal Hindus
কেন্দুয়ায় লোকনাথ বাবার দৃষ্টি নন্দন মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেন নরেশ বিশ্বশর্শা
![]() |
কেন্দুয়া লোকনাথ মন্দির |
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের কাঠের প্রসিদ্ধ বাজার সাহিতপুর। বাজারটির সামান্য দক্ষিণে সাহিতপুর গ্রামের এক সময়ের তালুকদার পরিবারের সন্তান নরেশচন্দ্র বিশ্বশর্মা প্রতিষ্ঠা করেছেন দৃষ্টি নন্দন ‘প্রভু বাবা লোকনাথ মন্দির’। নরেশ চন্দ্র বিশ্বশর্মা জানান, তার পিতা সুরেশ চন্দ্র বিশ্বশর্মা ছিলেন, একমাত্র সন্তান। প্রচুর ভূ-সম্পদের মালিক সুরেশ বিশ্বশর্মারও একমাত্র সন্তান তিনি নরেশ চন্দ্র বিশ্বশর্মা।
তিনি স্বাধীনতার সংগ্রামের ১ বছর পূর্বে নেত্রকোনার মেয়ে সন্ধারানী দেবীকে বিয়ে করেন। সত্তরোর্ধ্ব নরেশ বিশ্বশর্মার দম্পতি ও নিঃসন্তান। তিনি নেত্রকোনার মালনী চিত্রধাম আশ্রমের দীক্ষিত। তার ভাবগুরু হলেন, তারাকান্দা উপজেলার বিসকা গ্রামের প্রভূ রঞ্জন চক্রবর্তী। ধর্মজ্ঞানী সাধক রঞ্জন চক্রবর্তীকে তিনি প্রভূ বলে সম্বোধন করেন। নরেশ বিশ্বশর্মা নিঃসন্তান বিধায় তার প্রভূ রঞ্জন চক্রবর্তী পরামর্শ দেন বাড়িতে লোকনাথ বাবার নামে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে। সেই পরামর্শ মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিলেন নিজের বাড়ির জায়গায় নিজ অর্থায়ণে প্রতিষ্ঠা করবেন লোকনাথ বাবার মন্দির।
সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে ১৪১৫ বাংলা সালে সাহিতপুর নিজ বাড়িতে লোকনাথ বাবার মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। ২৪ জুন ২০২২ শুক্রবার মন্দির পরিদর্শনে গেলে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন প্রতিষ্ঠাতা নরেশ বিশ্বশর্মা ও তার স্ত্রী সন্ধ্যারানী দেবী। নরেশ বিশ্বশর্মা আরও বলেন, "নিজ অর্থায়নে ৪০শতক বসতবাড়ির ১০ শতক ভূমি দেবোত্তর করে দিয়ে বাবা লোকনাথ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছি। মন্দিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। তাছাড়া প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের ২৯ তারিখ অষ্ট প্রহর ব্যাপী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন অনুষ্ঠান হয়। প্রচুর ভক্তবৃন্দের আবির্ভাব হয় অনুষ্ঠানে। মন্দিরে পূজার্চনার জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচ কেজি ওজনের কাঁসার ঘন্টা রয়েছে। এছাড়া কীর্তনদল ও ভক্তবৃন্দ থাকার জন্য পাশেই করা হয়েছে ভক্তশালা, পশ্চিমপাশে রান্নাঘর, লাকড়ীঘর, কল-বাথরোমসহ বাড়ির ভেতরের চতুর দিকে রয়েছে মন্দিরের সেবাদানকারী নরেশ বাবুর আত্মীয়-স্বজন"। নিঃসন্তান এই দম্পত্তি জানান, তাদের মৃত্যুর পর মন্দিরের ভক্তবৃন্দ অনুষ্ঠান চালিয়ে যাবে এবং আরও ঐতিহ্য বৃদ্ধি করবে সেই প্রত্যাশা করি। প্রভূ লোকনাথ বাবার মন্দিরের শোভাবর্ধনসহ এর উন্নয়নের জন্য সরকারসহ সকলের সার্বিক সহায়তা কামনা করেন তিনি।
লিখেছেনঃ রাখাল বিশ্বাস
Social মিডিয়ায় এই নিউজ ভাইরাল হবেনা। ভাইরাল করার দায়িত্ব আপনাদের।
Also read: