ছয় মাস অন্তঃসত্ত্বা নূপুর সাহার মৃতদেহ মিলেছে পাটক্ষেতে
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌর সদরের চৌধুরী কান্দা সদরদী গ্রামের পাটক্ষেতের ভেতর থেকে নূপুর সাহা (২৫) নামে এক নারী এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। হতভাগ্য এই নারী ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার রায়পাড়া সদরদী গ্রামের কার্তিক রায়ের স্ত্রী। নিহত নূপুর সাহার দুই বছর বয়সী একটি সন্তানও আছে। এছাড়াও তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত পরশু মঙ্গলবার সকালে নূপুর সাহা তার কর্মস্থল পৌরসদরের হোগলাডাঙ্গি গ্রামের আদ-দ্বীন এনজিওর কিস্তির টাকা উত্তোলনের জন্য বের হওয়ার পর থেকেই তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার ও অফিসের লোকজন।
গতকাল বুধবার বিকেলে এলাকাবাসী স্থানীয় মামুন শেখের পাটক্ষেতের ভেতরে ওই নারীর অর্ধনগ্ন লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ফরিদপুর থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মরদেহ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো ওই হতভাগ্য নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পাটক্ষেতে ফেলে রেখে গেছে নরপশুরা।
এক সন্তানের জননী ও ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নূপুর সাহাকে ধর্ষণ এবং নৃশংসভাবে হত্যার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশের হিন্দু সমাজ। সমাজের বিবেকবান প্রতিটা মানুষের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠা উচিত।