Translate

2047 সালের মধ্যে ভারতকে 'ইসলামী রাষ্ট্র' হিসেবে গড়ে তুলতে 15 হাজার মুসলিম যুবককে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ

2047 সালের মধ্যে ভারতকে 'ইসলামী রাষ্ট্র' হিসেবে গড়ে তুলতে 15 হাজার মুসলিম যুবককে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ


Armed training of 15 thousand Muslim youth to make India an 'Islamic State' by 2047,2047 সালের মধ্যে ভারতকে 'ইসলামী রাষ্ট্র' হিসেবে গড়ে তুলতে 15 হাজার মুসলিম যুবককে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ,2047 সালের মধ্যে ভারতকে 'ইসলামী রাষ্ট্র' হিসেবে গড়ে তুলতে 15 হাজার মুসলিম যুবককে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ,Documents show PFI's plot for making India an Islamic state,PFI's '2047 Plan' Should Worry Agencies,muslim state india in 2047 wikipedia,muslim state india in 2047 population,muslim state india in 2047 in bangladesh,muslim state india in 2047 in bangla,muslim state india in 2047,
PFI


২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ‘ইসলামিক স্টেট’ করতে ১৫ হাজার মুসলিম যুবক সশস্ত্র ট্রেনিং নিয়েছে বলে জানিয়েছে বিহারের পুলিশ। ২০৫০ বা ২০৬০ সাল নয়- ‘৪৭’ কারণ এখানে একটি তাত্পর্য আছে। ১৯৪৭ সালে ভারতকে ভাগ করে ‘মুসলমানদের নিজস্ব দেশ’ পাকিস্তানের জন্ম দেয়া হয়েছিলো। তাই ২০৪৭ সালকে বেছে নেওয়া হয়েছে। দ্বিজাতিতত্ত্ব যে কতখানি সক্রিয় সেটি বুঝতে কষ্ট হয় না। 

( News Link )।


দীর্ঘদিন কেরেলাতে কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আছে। ভারতের অন্যতম শিক্ষিত রাজ্য এটি। সেই রাজ্যে পপুলার ফন্ট অফ ইন্ডিয়া Popular Front of India (pfi) নামে ইসলামিক সংগঠনের জন্ম হয়েছে যার প্রতিষ্ঠাতা আবু বকর কেরালারই বাসিন্দা। এই শিক্ষিত কমিউনিস্ট শাসিত রাজ্যের একজন মুসলিমের বানানো সংগঠন কেন আন্তর্জাতিক জিহাদী নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে? এই পপুলার ফন্টের সদস্য নারী পুরুষ আইএসে যোগদান করেছে। 

মুসলমানদের সামাজিক উন্নয়নের আড়ালে পপুলার ফন্ট ভারতকে ফের ৪৭ সালের বাস্তবতায় ফিরিয়ে নিতে চায় যাতে ভারতের মুসলিমদের জন্য আরেকটি দেশ আদায় করা যায়। গোয়েন্দারা বিস্মিত হয়েছে পুপুলার ফন্টের সফলতা দেখে। ২২টি রাজ্যে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে। তাদের আছে নিজস্ব পুলিশ অথবা সেনাবাহিনী! বিশেষ ইউনিফর্ম পরে তাদের কর্মীরা প্যারেড করে। তাদের পোশাকে স্বাতন্ত্র ব্যাজ পদক থাকে যা ভারতীয় বাহিনীর একটি প্যারালাল হিসেবে চিহ্নিত হয়। কেরালা পুলিশের নজর আসলে তারা তখন এই বাহিনীর প্রকাশ্যে আসাকে ব্যান করে দেয়। কিন্তু সম্প্রতি ১৫ হাজার মুসলিম যুবকের জিহাদের ট্রেনিং বেরিয়ে আসার পর বিষয়টি আর ছোটখাটো কিছু বলে মনে করার কোন কারণ নেই। কিন্তু ভারত জুড়ে নিরবতা পালন করছে লিবারাল ও বামপন্থি শিবির! 

ভারতে এত বড় নিউজ হয়ে গেছে অথচ ভারতীয় লিবারালদের কোন আওয়াজ নেই! ভারতে মুসলিম জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে নাকি সেটা বিজেপির আইটি সেলের মিডিয়া ট্রায়াল! মিডিয়ার মিথ্যাচার। হিন্দুত্ববাদীদের কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়া। অথচ খোদ কেরালা সরকার পুপুলার ফন্ট নিয়ে নড়েচড়ে বসছে। আদালতে কেরালা সরকার স্বীকার করেছে পপুলার ফন্ট এখন পর্যন্ত ২৭টি রাজনৈতিক মার্ডার করেছে, ৮৬টি মার্ডারের চেষ্টা চালিয়েছে, ১২৫টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার চেষ্টা চালিয়েছে। চিন্তা করুন ভারতে নাকি মুসলমানরা সংখ্যালঘু আর তাদের গরু খেলেই হিন্দুরা পিটিয়ে মেরে ফেলে!

ভারত জুড়ে মুসলমানদের এই রকম করুণ দশা প্রচারের জন্য পপুলার ফন্টের আছে নিজস্ব মিডিয়া সেন্টার যেখান থেকে ভারতকে মুসলমানদের জন্য দোযগ হিসেবে দেখানো হয়। আসামে যেমন মুসলমান কবিরা কাল্পনিক ‘মিয়া কবিতা’ লিখে মুসলিম নিপীড়নের কথা প্রচার করে যার বাস্তব কোন ভিত্তি নেই, ঠিক পুপুলার ফন্টের প্রচারণা সেটাই কিন্তু বৃহত পরিসরে। ‘মিডিয়ার এই অপপ্রচার’ নিয়ে অরুন্ধতী অমর্ত্য সেনের কিন্তু কোন কথা নাই!

এই পপুলার ফন্টের আছে নারী সংগঠন। আছে রাজনৈতিক দল। হিন্দুস্থান টাইমসকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রাজনৈতিক ভাষ্যকার বলেছেন, কেরালা কমিউনিস্ট পার্টি এই দলকে সমর্থন করেছিলো ভোটের রাজনীতির মারপ্যাঁচে আর এতেই এই দলটি এখন সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ( News Link )। আশ্চর্যজনক হচ্ছে এত কিছুর পরও ভারতের বামপন্থি তরুণরা আমাকে সব সময় বলে, ভারতে ইসলামিক মৌলবাদের কোন বাস্তব শক্তির অস্তিত্ব বা ভীত হওয়ার মত কিছু নেই। আমাকে এটাই বলেছে ভারতীয় বামপন্থিরা। তাদের যুক্তি ভারতে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজেই এখানে হিন্দু মৌলবাদের বিপদ আছে, ইসলামিক মৌলবাদের নয়!

কতখানি ইডিয়েট হলে এরকম কুযুক্তি এরা দিতে পারে? পুরো ইউরোপ যেখানে ইসলামকে নিয়ে চিন্তা করছে, চীনের জনসংখ্যার কত পার্সেন্ট মুসলমানরা? সেই চীনে মুসলমানদের উপর চাইনিজ সরকার যে রকম ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে কি প্রমাণিত হয়নি চীনে মুসলমান ও ইসলাম একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে? বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়ার মত দেশের পার্লামেন্টে ইসলাম ও  অভিবাসী মুসলমানদের নিয়ে এত কথা কেন হবে যারা সংখ্যায় এক পার্সেন্টও নয়? 

১৯৪৭ সালে অখন্ড ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে গেলো শুধু হিন্দু মুসলমান বিবাদে। ভারতে খ্রিস্টান বৌদ্ধদের সঙ্গে হিন্দুদের কেন হলো না? কেন কাশ্মীর উপত্যাক্ত থেকে হিন্দু পন্ডিতরা পালিয়েছিলো? যে ১৫ হাজার মুসলিম যুবক ট্রেনিং নিয়েছে বিহারে তারা ২০৪৭ সালে ভারতকে ইসলামিক স্টেট বানিয়ে ফেলেবে সেটি যতই অবাস্তব হোক- এই ১৫ হাজার মুসলিম যুবক তাদের মগজ ধোলাই হয়ে ভারতীয় সমাজে মিশে থাকবে সেটি কি একটি বিপদ নয়? জাকির নায়েকের এখনো কোটি কোটি ডলার ভারতে বিভিন্ন ছদ্ম পরিচয়ে ইসলামিক এনজিও সেবার নামে কাজ করছে। এগুলো বিপদ নয়? ভারতের মত দেশে ইসলামিক জঙ্গিবাদের বিপদ নেই এরকম দিবানিদ্রা কিভাবে দেওয়া সম্ভব যখন উপমহাদেশের ইসলামিক মৌলবাদের হেডকোয়াটার দেওবন্দ মাদ্রাসা ভারতের বুকেই প্রতিষ্ঠিত?


Susupto Pathok

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

আপনাদের ক্লিক এই Website টি সচল রাখার অর্থ যোগাবে।