মহুয়া মৈত্র এবং হিন্দু বিদ্বেষীদের সম্মন্ধে কি বললেন তমাল দাশগুপ্ত? আসুন জেনে নেই | Sojasapta2
মহুয়া মৈত্রর সমর্থকদের মধ্যে কারা আছে, কাদের দেখছি আমরা ফোরফ্রন্টে সোচ্চার হতে?
মহুয়ার সমর্থকদের মধ্যে গ্রেটার কাংলাদেশের দালালরা আছে, অর্থাৎ কাংলাপক্ষ আছে। এ রাজ্যের বামজেহাদি পালে পালে আছে মহুয়ার সমর্থকদের মধ্যে। "আমি মা কালীর ভক্ত" বলে সেন্টেন্স শুরু করে অল্টনিউজের জুবেরকে মুক্ত কর লিখে সেন্টেন্স শেষ করা চার অক্ষরের ছাগু আছে। মা কালীর মন্দিরে বাপের জন্মে না যাওয়া বিশ্বমানব আছে। হালাল ছাড়া অন্য মাংস না ছোঁয়া ধাপ্পাবাজ মিথ্যেবাদী ভাড়াটে কলমচি আছে যারা বলির মাংস ছাড়া বাঙালি হয় না লিখে ফেসবুক ভরিয়ে ফেলছে। পশুবলি বন্ধে ফেসবুকে হাউমাউ কেঁদে বেড়ানো ব্যক্তিকে দেখা গেল গর্গান্ডুর চ্যালা কৌশিক মাইতির সেই পোস্টে লাইক করতে যেখানে কাংলাপক্ষীয় দাবি হল মদ মাংস ছাড়া নাকি বাঙালির কালীপূজা হয় না। এমন ছাগলাটে হিন্দুবিদ্বেষীর ম্যাৎকার শুনলাম, যে তন্ত্রধর্ম সম্পর্কে ক অক্ষর গোমাংস, বাংলার নিজস্ব হিন্দুধর্মকে সে কুসংস্কার মনে করে পোস্ট দেয়, কিন্তু রাতারাতি ধর্ম-এক্সপার্ট হয়ে গেছে কারণ এখন সে হিন্দুধর্মের বৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে অগ্রসর। ঠিক নিজের বুকের রক্ত দিয়ে না পারলেও অন্তত পাঁঠার বুকের রক্ত দিয়ে সে হিন্দুর ডাইভার্সিটি রক্ষা করবে।
একজনও কালীভাগবতধর্মে বিশ্বাসী, জগদকারণ জগন্মাতা মা কালীর পুজো করা বাঙালিকে দেখলেন মহুয়া মৈত্রের ওই উৎকট মন্তব্য সমর্থন করতে? আমি দেখিনি। যারা সমর্থন করেছে প্রত্যেকে মাতৃকা দূষক। এরাই প্রত্যেক বছর বাঙালির দুর্গাপুজোকে বানচাল করতে উৎকট মহিষাসুর উপাসনা আর হুদূরবাজির সমর্থন করে।
এরা বাঙালির ধর্মকে বদনাম করতে চাইছে, এরা মোল্লার দালাল, এরা ঘরশত্রু। এরা কালীভক্ত সেজেছে, এবং এরা নিজেরা শিশ্নোদরপরায়ণ মদ্যমাংসলোলুপ ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিশ্বমানব বলেই এদের এই মদ মাংস খুব পছন্দ হয়েছে।
আমার দৃষ্টিতে বর্তমান বিশ্বপরিস্থিতি | The current world situation in my view
আমি আগেই বলেছি মায়ের পুজোয় নরবলি দেওয়ারও বিধি আছে। বাঙালি জাতির আবহমানকালের শেকড়ে থাকা মাতৃকা উপাসনার তন্ত্রধর্ম সম্পর্কে ম্যাৎকারকারীগণ মনে রাখুন। শুধু পাঁঠার মাংস খান না আমাদের মা। নরমাংসও গ্রহণ করেন। মনে রাখুন, কাজে দেবে।
আর মদ্য কোনোকালেই কালীপূজার সাধারণ আঙ্গিকে প্রচলিত নয়, শ্মশানকালী ছাড়া। অন্ধের হস্তীদর্শন যেমন, মহুয়া অনুসারী এই বিশ্বমানবদের গুষ্টি তেমনই কালীপুজো বুঝেছে।
মমতা জানেন সাধারণ বাঙালির সেন্টিমেন্ট, তাই মহুয়ার বক্তব্য থেকে তৃণমূল দলের দূরত্ব তৈরি করেছেন। কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়। মহুয়া অনবরত ম্যাৎকার করেই যাচ্ছেন। বাপের জন্মে কালীমন্দির না যাওয়া মহুয়া এখন নতুন নতুন সাক্ষাৎকার দিয়ে তার মূর্খামির ঝুলি উপুড় করছেন। মমতার কাছে আবেদন, এবার হয় শাস্তি দিন, মুখ বন্ধ করান আপনার এই সাংসদের, নইলে এর কাজের দায়ভার আপনি নিজের মাথায় নিন, মমতা।
মা কালী বঙ্গেশ্বরী, কারণ কালিকা বঙ্গদেশে চ। কলিযুগে মা কালী ভিন্ন অপর উপাস্য নেই, মা কালী তাই যুগেশ্বরী। শুধু তাঁর নাম নিলে আর অন্য কোনও দেবদেবীর নাম নেওয়ার প্রয়োজন হয় না, তিনি একেশ্বরী।