Translate

বাংলাদেশের একজন ক্রীড়া সাংবাদিক ও টেলিভিশন ধারাভাষ্যকারের ফেসবুক পোষ্ট - Sojasapta2

বাংলাদেশের একজন ক্রীড়া সাংবাদিক ও টেলিভিশন ধারাভাষ্যকারের ফেসবুক পোষ্ট

বাংলাদেশের একজন ক্রীড়া সাংবাদিক ও টেলিভিশন ধারাভাষ্যকারের ফেসবুক পোষ্ট - Sojasapta2


এই লোকটা বাংলাদেশের একজন ক্রীড়া সাংবাদিক ও টেলিভিশন ধারাভাষ্যকার। সে ফেইসবুক পোস্টে লিখেছে নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটুক্তি করার আসল কারণ কি? অর্থ্যাত এই লোকটি পুরোপুরি অস্বীকার করছে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক ঘটনার পিছনে ফেইক আইডি বানিয়ে হিন্দুদের ফাঁসানোর বিষয়টি। বরং বলতে চাচ্ছে নবী নারীদের অধিকার দিয়েছে, ক্রীতদাস প্রথা উচ্ছেদ করেছে তার কারণেই ঈর্ষান্বিত হয়ে নবী কটুক্তির ঘটনাগুলি ঘটছে। ডিফেন্স সে করতেই পারে। কিন্তু তার পিছনে সত্য থাকতে হবে। আগোগোড়া মিথ্যা বলে কেন ডিফেন্স করবে?

অনুপম হোসেন লিখেছেন ‘নারী শিশুদের জীবন্ত কবর দেয়া যাবে না’ এটা নবীর বিপ্লব ছিলো। এটা বলে বুঝানো হয়েছে ইসলামের আগে আরবরা কন্যা শিশুদের সব জীবন্ত কবর দিয়ে দিতো! তাহলে নবী মা আমেনা আর দুধ মা হালিমা বেঁচে থাকল কিভাবে?

নারী যদি আরবে অসহায় থাকত তাহলে আবু সুফিয়ানের স্ত্রী হিন্দ কি করে আরব সমাজে নেতৃত্বশালী কুরাইশ মহিলা হতে পারল? আর সম্পত্তিতে যদি তখন নারীদের অধিকার না থাকত তাহলে নবী প্রথম স্ত্রী খাদিজা কি করে তার মৃত স্বামীর সম্পত্তি লাভ করেছিলো? খাদিজা সাবেক স্বামীর প্রাপ্ত সম্পদ ও ব্যবসা পরিচালনা করতেন এবং ২৫ বছরের কর্মচারী মুহাম্মদকে নিজে সিলেক্ট করে বিয়ে করেছিলেন। ইসলাম আসার পর সেই নারীর অভিভাবক হয়েছে পিতা, সন্তান ও স্বামী। নারীর নিজস্ব কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার ইসলামে নেই। এমনকি মাহরাম ছাড়া সে একাকি ঘরের বাইরে যেতে পারবে না!... কিন্তু এই ক্রীড়া সাংবাদিক বলল উল্টোটা!


আর ক্রীতদাস প্রথা!

হাঃ হাঃ হাঃ... মুসলমানরা জিহাদ করে গণিমত হিসেবে অমুসলিম নারীদের দাসী করতে পারবে এবং এই দাসী বিক্রয় যোগ্য! কি করে লোকটা বলল নবী বলেছে মানুষ আর আরেক মানুষকে ক্রীতদাস বানাতে পারবে না? ইসলাম দাস প্রথা উচ্ছেদ করেনি। বরং আরবে প্রচলিত পালক পুত্র কন্যা প্রথাকে ইসলাম বাতিল করে দিয়েছে। পালক পুত্র জায়েদের স্ত্রী জয়নবকে নবী বিয়ে করে বলেছেন পালক পুত্র প্রথা উঠিয়ে দেয়া হলো। এগুলো ইসলামের কোন লুকোচুরি জিনিস নয়। এই মডারেটগুলি তবু ইসলামের নামে মিথ্যা ছড়ায় কেন?


কারণটি অন্যখানে!

রামু, নাসিরনগর, কুমিল্লা, নড়াইল বাংলাদেশে যত জায়গায় নবীর নামে কটুক্তি করা হয়েছে সবগুলি ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে মুসলমানরাই ফেইক হিন্দু আইডি বানিয়ে ইসলামের নবীর নামে নোংরা নোংরা কথা লিখে হিন্দু পাড়ায় হামলা চালিয়েছে। এইসব ফেইসবুক পোস্টে মুসলমানরা তাদের নবী চরিত্র নিয়ে বাজে কথা লিখেছে। ঘটনাগুলি সকলে জানে তবু দেশের একজন সাংবাদিক ও টিভি ধারাভাষ্যকার হিসেবে ‘নবীকে নিয়ে এত অপপ্রচার কেন’ লিখে বুঝিয়ে দিচ্ছে নবী কটুক্তির অভিযুক্তরাই দায়ী! নড়াইলের ঘটনার পর হিন্দু ধর্মালম্বীদের পাশে না থেকে নবীর বিরুদ্ধে কেন কটুক্তি সেই আবিস্কারে নেমে একরাশ মিথ্যা ছড়িয়ে দেয়াটা যখন সমাজের সুপরিচিত লোকজন কোমড় বেঁধে নামে তখন সামগ্রীকভাবে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যে কঠিন সেটা না বুঝার কিছু নেই। এরা সেই সাইলেন্স ‘তৌহদী জনতা’ যারা মিছিলের তৌহদী জনতা দেখলে মনে মনে পুলকিত হয়ে উঠে। এরাই বাংলাদেশ! এরাই টেলিভিশন ধারাভাষ্যের সময় ভারতের বিরুদ্ধে খেলা হলে পেশাদারিত্ব কেন হারিয়ে ফেলে সেটা বুঝা গেছে কি?

লিখেছেনঃ সুষুপ্ত পাঠক
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

আপনাদের ক্লিক এই Website টি সচল রাখার অর্থ যোগাবে।