Translate

যৌতুকের কারনে তিন মাস বয়সী সন্তানের মাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, বিচার মিলেনি এখনো

যৌতুকের কারনে তিন মাস বয়সী সন্তানের মাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, বিচার মিলেনি এখনো


উল্লেখ্যঃ গত 17-07-2022 তারিখ ভোলা জেলার বেরহানউদ্দিন উপজেলায় যৌতুকের জন্য তিন মাস বয়সী সন্তানের মাকে স্বাামী শশুর শাশুড়ী মিলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। শশুর শাশুরী ছেলে তিনজন মিলে পুত্রবধুর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিলে, অবস্থা গুরুতর বুঝতে পেরে প্রথমে ভোলা সদর মেডিকেলে ভর্তি করে, পরে ভোলা মেডিকেলের কর্মরত ডাক্তার ঢাকা বিএনসিসি রেফার করে এবং ঢাকা শেখ হাসিনা বার্নইউনিট হাসপাতাল ভর্তি করে। দীর্ঘ ১১দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে একপর্যায়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত 28-07-2022 তারিখ রাতে মারা যায়।


যৌতুকের কারনে তিন মাস বয়সী সন্তানের মাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা, বিচার মিলেনি এখনো

মেয়ের বাবা 28-07-2022 তারিখ ভোলা বোরহানউদ্দিন থানা মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়, উল্টো থানা কতৃপক্ষ দূর্ঘটনা কারন দেখিয়ে ছেলের পক্ষ থেকে জিডি গ্রহণ করে।পরবর্তী একপর্যায়ে মেয়ের বাবা ভোলা কোর্টে নারী ও শিশু নির্যাতন ৩০২ ধারা  3/8/2022 মামলা করে।


মামলা হওয়ার ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও থানার কর্তৃপক্ষ মামলার কপি আসেনি এই অজুহাত দেখিয়ে আসামিদের ধরছে না। তাই অসহায় মা বাবা মেয়েকে হারিয়ে ভোলা জেলার সকল সাংবাদিক ও প্রসাশন কতৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠ বিচার কামনা করছে।


স্বামীর নামঃ অন্তর দাস,

পিতার নামঃ শান্তি দাস,

মাতার নামঃ মিলনী দাস,

গ্রাম ১নং কাচ্চা হাওলাদার বাড়ী, 

উপজেলাঃ বোরহানউদ্দিন,

জেলাঃ ভোলা।


মেয়ের নামঃ অনামিকা রানী দাস,

পিতার নামঃ অভিনাশ দাস,

মাতার নামঃ রূপসী রানী দাস,

গ্রামঃ বদরপুর,

উপজেলাঃ লালমোহন,

জেলাঃ ভোলা।


আরও বিস্তারিতঃ

ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে মারা যায় 28 তারিখে তখন মেয়ের বাবা বোরহানউদ্দিন থানায় জিডি করতে গেলে জিডি নেয়নি।

কিন্তু তাৎক্ষণিক ঢাকা শাহবাগ থানায় 29 তারিখে একটি সাধারণ জিডি করা হয় পোস্টমর্টেম এর জন্য। পোস্টন করা শেষে লাশ নিয়ে ভোলা বোরহানউদ্দিন থানা যায়। তখন ছেলের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনা বসতো একটি চিঠি থানা কর্তৃপক্ষ গ্রহন করে।

এই পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন মেয়ের বাবাকে সহযোগিতা করেনি এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে মেয়ের বাবা ভোলা কোর্টে মামলা করে। কিন্তু সেখানে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ৩০২ ধারায় মামলা আমলে নেয় এবং চার্য ওয়ারেন্ট গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ৩ তারিখে। কিন্তু আজ ১৯ তারিখ হয়ে গেল আসামীদের ধরছে না থানার কর্তিপক্ষ। প্রকাশ্যে আসামি ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলার খোঁজখবর নিতে গেলে বলা হয় "মামলার কপি থানায় আসেনি"। অসহায় মেয়ে হারানো বাবা ন্যায় বিচারের জন্য আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ও সহযোগিতা কামনা করে। তাই আমি তাৎক্ষণিক জানতে ও শুনতে পেরে আপনাদের সামনে বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করি। কিন্তু আমি একা হয়তো আপনাদের কাছে বিষয়টি নজরে আনতে পারছি না তাই আপনাদের একান্ত প্রচেষ্টা সকলের সহযোগিতা কামনা করি বিষয়টি দ্রুত সকলের তুলে ধরার জন্য। 


প্রমান পত্রঃ 

Image1        Image2        Image3        Image4

Image5        Image6        Image7        Image8


তথ্যসূত্রঃ 

বাবু স্বদেশ মন্ডল, কুয়েত সিটি।

মেয়ে হারানো বাবাকে ন্যায়বিচার পেতে সকলে পোস্টটি শেয়ার করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

আপনাদের ক্লিক এই Website টি সচল রাখার অর্থ যোগাবে।