Translate

মাতা অমৃতানন্দময়ী | Mother Amritanandamayi

মাতা অমৃতানন্দময়ী | Mother Amritanandamayi

বাংলায় কয়জন চেনেন এই মহীয়সীকে?

আসল নাম সুধাময়ী ইদামন্নেল। সারা বিশ্ব তাঁকে চেনে মা অমৃতানন্দময়ী নামে। জন্ম কেরালার আলাপ্পাডে 1953 সালে। সনাতন ধর্মের একজন মহান প্রচারক। সারাজীবন সমর্পণ করেছেন দীন দুঃখীদের সেবায়।লক্ষ লক্ষ অসহায় মানুষকে শিখিয়ে চলেছেন সেবার মন্ত্র। মানব জাতির সেবা ও ধর্মপথে মুক্তির পথ প্রদর্শন যার জীবনের ব্রত। তিনি স্থাপন করেছেন অমৃতানন্দময়ী মঠ এবং অমৃতা বিশ্ব বিদ্যাপিঠ। তাঁর সংস্থার মোট সম্পত্তির পরিমাণ 2500 কোটি টাকা। তিনি ভক্তদের কাছে আম্মা(দক্ষিণ ভারতে মা) নামে পরম শ্রদ্ধেয়। 


আজ এই মহীয়সীর কথা উল্লেখ করছি আজকের দিনে তাঁর সংস্থার বিশেষ কীর্তির জন্য। আজ ফরিদাবাদে মাতা অমৃতানন্দময়ী জীর সংস্থার পক্ষ থেকে নির্মাণ হোলো এশিয়ার সবচেয়ে বড় বেসরকারি হসপিটাল।এটি 2600 বেডের একটি মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটাল, যার নির্মাণে খরচ হয়েছে 6000কোটি টাকা। আজ এই হসপিটাল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 


মহান সনাতন ধর্মের প্রচারকরূপে মাতা অমৃতানন্দময়ী মায়ের মানব সেবার এই নিদর্শন সারা বিশ্ব জুড়ে আজ প্রসংশিত। একজন গর্বিত সনাতনীরূপে মা অমৃতানন্দময়ী মা কে কোটি কোটি প্রণাম জানাই। তাঁকে নিয়ে গর্বিত হওয়ার আরো কারণ তিনি এই মহান ধর্মের মহান সাদ্ধী। 


মাতা অমৃতানন্দময়ী নিয়ে আরও বিস্তারিতঃ 

মাতা অমৃতানন্দময়ী Mother Amritanandamayi বিস্তারিত, সুধাময়ী ইদামন্নেল, সুধাময়ী ইদামন্নেল, মহান ধর্মের মহান সাদ্ধী, আত্মোপলব্ধি

মাতা অমৃতানন্দময়ী ১৯৫৩ সালে দক্ষিণ ভারতের কেরালার একটি প্রত্যন্ত, দরিদ্র উপকূলীয় মাছ ধরার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাল্যকালে মা-বাবার কাছে ধর্মের শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। শৈশবে তিনি সমুদ্র সৈকতে গভীর ধ্যানে বহু ঘন্টা কাটিয়েছিলেন। তিনি ভক্তিমূলক ভজন গাইতে পছন্দ করতেন, নিজে রচনাও করতেন।
 

তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পেয়েছিলেন নয় বছর পর্যন্ত। পরবর্তীতে ওনার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাই পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। তিনি দেখেছিলেন যে ওনার পরিবারের একটি কঠিন সময় পার করছে কিন্তু ওনার অনেক প্রতিবেশী এর থেকে বেশি কঠিন সময় পার করছে। তাই তিনি পরিবারের কাছ থেকে খাবার এবং কাপড় চুরি করে গ্রাম-বাসীদের দিতেন। জাতপাতের বিধিনিষেধ সম্পূর্ণ অমান্য করে তিনি তার দেখা প্রতিটি দুঃখী ব্যক্তিকে আলিঙ্গন করতেন। তাদের সান্ত্বনা দিতেন। তিনি এতই স্নেহশীল এবং মাতৃত্বপূর্ণ ছিলেন যে প্রাপ্তবয়স্করাও ওনাকে আম্মা বা মা বলে ডাকতে শুরু করেছিলেন।


তিনি কয়েক দিন থেকে সপ্তাহ ধরে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় আধ্যাত্মিকতার চর্চা করতে পারতেন। ওনার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ও আচরণে প্রভাবিত হয়ে অনেকেই ওনার শিষ্য হিসাবে গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করে। তিনি অনিচ্ছুক ছিলেন, কিন্তু এর কিছু বছর পরে তিনি গ্রহণ করতে শুরু করেন এবং ভক্তি যোগ শিক্ষা দেন যা তিনি আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে পেয়েছিলেন।
 

সর্বোপরি গরীব ও দুঃখীদের সাহায্য করার জন্য অর্থ সংগ্রহ করা, দুঃখের জগতকে অতিক্রম করে মোক্ষে পৌঁছানোর জন্য আধ্যাত্মিক সাধনা শেখানোর মাধ্যমে তিনি আরও মানুষকে আকৃষ্ট করেন এবং অবশেষে মাতা অমৃতানন্দময়ী হয়ে ওঠেন। বর্তমানে তিনি সনাতনধর্মের জনপ্রিয় গুরুর মধ্যে একজন যিনি পোপ ফ্রান্সিসের মতো ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফোরামে সনাতন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বিশাল আন্তর্জাতিক মানবিক এবং পরিবেশবাদী অলাভজনক সংস্থা, কয়েক ডজন দেশে দারিদ্র্য ও দুর্যোগ ত্রাণ, শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তুলেছেন, বিনামূল্যে হাসপাতাল, পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং অন্যান্য প্রকল্পের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন।

প্রণাম মা অমৃতানন্দময়ী

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url