নোয়াকাটি গ্রামের পাশের কপোতাক্ষ নদীর মধ্য থেকে একটি শিবলিঙ্গ উদ্ধার - News
![]() |
ক্রন্দনরত ভক্তবৃন্দ |
উল্লেখ্য, খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনির গোলাবাটি এলাকায় কপোতাক্ষ নদীতে জেলে জগদীশ বিশ্বাসের জালে উঠে এসেছে এই বিশালাকৃতির শিবলিঙ্গ। জগদীশ বিশ্বাস কপোতাক্ষ নদীতে পাটা জাল পাতলে গতকাল শুক্রবার রাতে কূলে শিবলিঙ্গের মাথা ভেসে উঠে এবং তিনি সেখান থেকে শিবলিঙ্গটি উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে আছে।
কিন্তু সর্বসাধারন হিন্দু সম্প্রদায়ের একটিই বক্তব্য,
'সরকার জোর করে আমাদের সম্পত্তি কেড়ে নিচ্ছে। খুলনায় নদীতে একটি শিবমূর্তি পাওয়া গেলেও পুলিশ এসে তা থানায় নিয়ে যায়। হিন্দুরা হিন্দুদের প্রাচীন কিছু পেলে সরকার নেবে কেন? এসব মূর্তির মালিক হিন্দু। এগুলো হিন্দুদের সম্পত্তি। এভাবে হিন্দুদের হাত থেকে হিন্দু পূজা কেড়ে নেওয়া খুবই সাম্প্রদায়িক কর্মকান্ড। কিভাবে এটি অসাম্প্রদায়িক কর্মকান্ড হতে পারে?'।
আমাদের 'এই আবেগটুকু' পুনরায় আমাদের মন্দিরে স্থাপনের জোর দাবী জানাচ্ছি! হ্যাঁ আমি বলছি শিবলিঙ্গের (প্রতীক) কথা। যা আমাদের আরাধনা, আবেগ, অনুভূতি, অস্তিত্ব, বিশ্বাস, ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা সবকিছুর জানান দেয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাওয়া হিন্দুদের বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তিগুলোতে শুধুমাত্র হিন্দুদেরই অধিকার থাকা উচিত!
কারণ এইগুলো শুধু মূল্যবান ধাতব মূর্তি নয়, এগুলো হিন্দুদের আরাধ্য, পরম পূজনীয় বিভিন্ন দেবদেবী। শুধুমাত্র হিন্দুরাই পারে বিভিন্ন দেবদেবীর এই মূর্তিগুলোর পবিত্রতা রক্ষা করতে এবং সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে সনাতন ধর্মের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে।
হিন্দুদের বিভিন্ন দেব-দেবীর উদ্ধারকৃত মূর্তিগুলোকে এভাবে যদি একের পর এক দেশের বিভিন্ন জাদুঘরে রাখা হয় তাহলে একটা সময় এসে দেখা যাবে এদেশে বসবাসরত হিন্দুরাও জাদুঘরের স্থান পাবে!
সর্বশেষ আমি একটি কথাই বলবো হিন্দুদের বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি জাদুঘরে রাখার জন্য নয়, এগুলো বিভিন্ন মন্দিরে রেখে পবিত্রতার সাথে পুজিত হয়।