সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক মেয়েকে অপহরন | Kidnapping of a minority girl
দোয়ারা বাজারে এক সিএনজি অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে মা-বাবার সামনে কিশোরী স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
ওই কিশোরী উপজেলার মুহিবুর রহমান মানিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (১৪) এবং পূর্ব নৈনগাঁও গ্রামের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক গরিব কৃষকের সন্তান।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার পর পূর্ব নৈনগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত অটোরিকশাচালকের নাম মো. আশকর আলী। তিনি একই গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর দোয়ারাবাজার থানায় মো. আশকর আলীর বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন ছাত্রীর বাবা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মেয়েটিকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত ও কুপ্রস্তাব দিত আশকর আলী। তাতে ও রাজি না হওয়ায় সে তাকে অপহরণের হুমকি দিত। বিষয়টি পরিবারকে জানালে মানসম্মানের হানি হবে, এমন ভয়ে কারও কাছে বিষয়টি বিচারপ্রার্থী হয়নি মেয়েটি।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার পর আশকর আলী ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে জরুরি কথা আছে বলে তার বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে।
ছাত্রীর বাবা বাতি জ্বালিয়ে ঘরের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে আশকর আলী ও কয়েক যুবক জোর করে ঘরে ঢুকে এবং পরিবারের সবাইকে খুন করার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীর মুখ চেপে গাড়িতে তোলে নেয়। এর পর গাড়ি নিয়ে ছাতকের দিকে চলে যায়। নানা স্থানে মেয়েকে খোঁজে না পেয়ে শুক্রবার আশকর আলী ও অজ্ঞাতনামা তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেব দুলাল ধর বলেন, নৈনগাঁও গ্রামের ওই ছাত্রীকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রিংকু কুমার দেব আক্কেপ করে বলেন,গুটিকয়েকজন লম্পট দ্বারা প্রায় সংখ্যালঘু নারী অপরহণ ও নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে এটা দুঃখজনক। তিনি নৈনগাঁও গ্রাম থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী লম্পট অটোরিকসা চালক মো. আশকর আলী গংদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশ সুপারের নিকট জোর দাবী জানান। এমন একটি ঘটনায় দোষীরা শাস্তি পেলে দ্বিতীয় আরেকটি এ ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটানোর সাহস পাবেনা তারা।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) দেব দুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কিশোরীকে উদ্ধারে এবং অপহরনকারীকে গ্রেপ্তারের পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।
সুত্রঃ দৈনিক আমাদের সময়