
মহাভারত যুদ্ধের পরে বৈদিক সভ্যতার পতন হয়ে যায়। আর্যদের পৃথিবী জুড়ে চক্রবর্ত্তী সম্রাজ্যে ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। পৃথিবী ছোট ছোট ভূখণ্ডে ভাগ হয়ে যায়। এক আর্য মনুষ্য কূল যবন ম্লেছ বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে যায়। আর্যরা বেদ পাঠহীন হয়ে নষ্টভ্রষ্ট হয়ে যায়। ভারত খণ্ডে বেদের প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। আস্তে আস্তে মানুষের মধ্যে বেদ জ্ঞানের অভাব হতে থাকে।
রাজ শক্তি বেদ ভুলে অন্যায় ভাবে প্রজাদের শাসন করে যেতে থাকে। হঠাৎ তার মধ্যে উৎপত্তি হল হাজার হাজার মতবাদ। স্বঘোষিত গুরু গোসাইরা নিজ নিজ মত সৃষ্টি করে আর্য সমাজের পতন ঘটায়। বিভিন্ন অবৈদক মত মতান্তের ভারত বর্ষ ভর্তি হয়ে যায়। অখণ্ড আর্য সত্য সনাতন ধর্ম মত মতান্তরের যাতাকলে ধ্বংস হয়ে যায়।
এদিকে তান্ত্রিক আদি বামমার্গী মতের সাথে অন্যান্য মতের সংঘর্ষের ফলে জন্ম নেয় জৈন ধর্ম ও বৌদ্ধ ধর্ম। জৈন রা ৩০০ বছর ধরে ভারত শাসন করে এবং সনাতন ধর্মে কোটি কোটি মানুষকে হত্যা করে। সব শাস্ত্রগ্রন্থ পুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়।
বৌদ্ধরা ও সনাতন ধর্মের যথেষ্ট হানি করে। প্রায় ১,৫০০ বৎসরের মত বৌদ্ধ ও জৈনরা ভারত শাসন করেন। এই শাসনের যাতাকলে বৈদিক সত্য সনাতন ধর্ম একেবারে বিলুপ্তির পথে চলে আসে। তার পর ভারত বর্ষে বিদেশী আক্রমণ শুরু হয়। মুসলিম যবন ম্লেচ্ছরা। ভারত আক্রমন করে প্রায় আরো ১০০০ বৎসর ধরে ভারত শাসন করে পূর্ণরূপে সনাতন ধর্মের বিলুপ্ত ঘটায়।
Join Telegram
ইংরেজ ও মুসলিম শাসন আমলে সনাকন ধর্মে সকল পবিত্র গ্রন্থগুলোকে কলুষিত করা হয়। বেদে মাংস আহার ও ব্যাভিচারের দোষ অরোপ করা হয়। মনুস্মৃতিতে ব্রাহ্মণ শুদ্রের ঝগড়া বাধানো গল্প রচনা করা হয়। ব্রাহ্মণ গ্রন্থে যাগযজ্ঞে পশুবলির দোষ অরোপ করা হয়। দর্শণ গ্রন্থে শঙ্করের মায়াবাদ ঢুকানো হয়। গীতার শ্লোক প্রক্ষিপ্ত করে বৈষ্ণবদের মতের তুষ্টি করা হয়।
অবতারবাদ, মূ্র্তিপূজা, গুরুঘণ্টালী ইত্যাদি প্রবেশ করানো হয়। মহাভারত যুদ্ধের ১০০০ বৎসর পূর্বে যে শুদ্ধ সত্য বৈদিক সনাতন ধর্ম ছিল তাহা সম্পূর্ণরূপে বিনাশ হয়ে যায়। আজ বিনাশ হয়ে আছে। পূর্বের অতিকায় বিশাল সত্য সনাতন ধর্ম লোপ পেয়েছে কিন্তু গুরুঘন্টালী সকল তেলাপোকা মার্কা মতগুলো এখনও একটু একটু বেচে আছে।
After the Mahabharata war, the Vedic civilization collapsed. The world of the Aryans crumbled into Chakravarti empires. The world is divided into small territories. An Arya Manushya Kul Yavana Mlech is divided into different parts. Aryas without learning the Vedas become corrupt. The spread of the Vedas stopped in India. Gradually people started to lack knowledge of Vedas.
Raj Shakti started to rule the subjects unjustly, forgetting the Vedas. Suddenly thousands of doctrines arose in him. The self-proclaimed Guru Gosaira created their own opinion and brought down the Arya Samaj. India was filled with various illegitimate opinions. Akhanda Arya satya sanatana dharma is destroyed in the process of conversion.
Meanwhile, Jainism and Buddhism were born as a result of the clash of other views with Tantric original Bammargi views. Jains ruled India for 300 years and killed billions of people in Sanatan religion. Burn all scriptures.
Buddhists also do considerable harm to Sanatan Dharma. Buddhists and Jains ruled India for about 1,500 years. During this regime, Vedic Sathya Sanatan Dharma was on the way to complete extinction. After that foreign invasions started in India. The Muslim youth are the Mlechchras. India invaded and ruled India for another 1,000 years, completely eradicating the Sanatan religion.
During the British and Muslim rule, all holy books were corrupted in Sanakan religion. The Vedas condemn flesh eating and adultery. In Manusmriti, the story of brahmin sudra fighting is composed. Animal sacrifices are blamed in the Brahmin texts. Shankar's Mayavadism was introduced in Darshan Granth. The Vaishnavas were appeased by quoting verses from the Gita.
Avatarism, idol worship, bell ringing etc. were introduced. 1000 years before the Mahabharata war, the pure true Vedic Sanatana Dharma was completely destroyed. Today it is destroyed. The great Sathya Sanatana Dharma of the past has disappeared but the Gurughantali all cockroach maraka beliefs still survive a little.
যারা কেবল হিন্দু হিন্দু করে, ইসলাম ইসলাম করে, বৌদ্ধ বৌদ্ধ করে, শিখ শিখ করে, জৈন জৈন করে বা খ্রীষ্টান খ্রীষ্টান করে তারা আসলে নিজের নিজের ধর্ম কে অশ্রদ্ধা করে , নিজের নিজের ধর্ম কে ঘৃণা করে, তারা প্রকৃত নিজেই নিজেকে ঘৃণা করে। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ বা যে কোন মন্ত্রী, এমপি,এম এল এ বা রাজনৈতিক ব্যাক্তি কোন অনুষ্ঠানে, দেশে-বিদেশে হোটেল বা অতিথিশালায় থাকে এমন কি লোকসভা বা বিধানসভা র ক্যান্টিন থেকে খাবার খান তখন তারা কি খোঁজ করেন যে ঐ খাবার কে রান্না করেছেন ,সে কি হিন্দু না মুসলিম না শিখ না বৌদ্ধ না জৈন নাকি খ্রীষ্টান ? অন্য ধর্মের মালিকের অধীনে কোনো কোম্পানিতে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা পালন করতে লজ্জাবোধ হয় না? যারা এইসব ভেদাভেদ করে তাদের সমাজে বেঁচে থাকার অধিকার নেই ।
এই কথাগুলো আমাদের না বলে। বাংলাদেশে এসে বা খিদিরপুরের মত মুসলিম জনবহুল এলাকায় গিয়ে যারা উস্কানীমূলক ভাষন দেয় তাদের এই কথাটি বলুন।
আপনি ভালোই জানেন যে আপনি তাদের,সামনে এই সম্প্রীতির কথা বলতে পারবেন না। কারলন তারা আপনাকে শরিয়া আইন মোতাবেগ গলাটা নামিয়ে দিবে। তাই এখনো সময় আছে মানবতা রক্ষায় জিহাদের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হোন। বাংলাদেশের অবস্থা খুব ভালোনা। সামনে নির্বাচন। এই মোল্লারা যখন শান্তির বার্তানিয়ে আমাদের উপর আক্রমন করবে তখন এইসব বলার সাহস রাখবেন না।
দয়া করে এই সমস্ত তথাকথিত অসাম্প্রদায়িকতার মেকি বুলি না আউড়িয়ে একটা অখন্ড হিন্দু সমাজ গড়ে তোলার কাজে মনোনিবেশ করুন।
আজকে আমরা বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে।ইরান,ইরাক,আফগানিস্তান,পাকিস্তান,রোম,জেরুজালেম,আরব সমস্ত ১০০% হিন্দুর দেশ থেকে আমরা আজ বিলুপ্ত হয়ে ভারতে এবং বাংলাদেশ-পাকিস্তান-নেপালে অল্প কিছু সংখ্যক হিন্দু টিকে আছি।মনে রাখবেন আপনি চামচামি চাটুকারিতা,লেজুড়বৃত্তি,ইতিহাস চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলে যে কয়েকজন হিন্দু আছে,এরা থাকবে না।আর হিন্দু যদি না থাকে তাহলে আপনাকে হয় দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে নতুবা কলেমা পড়ে থাকতে হবে।
আবুল বারাকাত সাহেব একটা জরিপে বলেছেন যে,বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৬৩২ করে হিন্দু কমে যায়।এভাবে যদি কমতে থাকে তাহলে আগামী ৮-১০ বছর পর বাংলাদেশে হিন্দুদের পরিস্থিতি কি হতে যাচ্ছে তা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারছেন।
তাই বলি
"যত মত তত পথ
হিন্সু স্বার্থে একমত"🚩