হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামে ধর্মান্তর হতে নারাজ, পাকিস্তানে হিন্দু বধূকে লাগাতার গণধর্ষণ
![]() |
তথ্য চিত্র |
হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হতে হবে। এই দাবি গ্রহন না করায় বার বার ধর্ষণের শিকার হলেন এক পাকিস্তানী হিন্দু বধূ। কোনো রকম ভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে পুলিশের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কিন্তু সেই অভিযোগ গ্রহণ করেনি পাকিস্তানি পুলিশ প্রশাসন। বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্পূর্ন ঘটনার বিবরন জানিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন ওই তরুণী।
সোসাল মিডিয়া থেকেই পাকিস্তানের এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, জোরপূর্বক ইসলামে ধর্ম পরিবর্তন করতে চেয়ে ধর্ষণের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে পাকিস্তানে। তা সত্বেও টনক নড়েনি এই মুসলিম দেশের প্রশাসনের।
আসলে ঠিক কী ঘটেছিল?
কয়েকদিন আগে সামারো এলাকার এক হিন্দু বধূকে ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলামে আসার প্রস্তাব দেয় স্থানীয় কয়েকজন যুবক। রাজি না হওয়ায় তাঁকে অপহরণ করা হয়। ভিডিওটিতে অপহরণকারী তিন যুবকের নামও উল্লেখ করেন ওই তরুণী। ভিডিওতে তিনি বলেন, একটি গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করতে চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু রাজি না হওয়ায় তাঁকে বার বার গণধর্ষণ করে ওই তিন যুবক।
টানা তিনদিন ধরে এহেন ঘটনা চলার পরে অবশেষে প্রাণ হাতে নিয়ে গোপন ডেরা থেকে পালান ওই তরুণী। সমস্ত ঘটনার কথা জানান মুসলিম রাষ্ট্রের স্থানীয় পুলিশকে। কিন্তু তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি মুসলিম রাষ্ট্রের পুলিশ।
স্থানীয় এক হিন্দু নেতা জানিয়েছেন, অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে থানায় বসে থাকতে হয় নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে। তা সত্বেও অভিযোগ দায়ের করেনি পুলিশ। অবশেষে সুবিচারের দাবিতে একটি ভিডিও করে নিজের অবস্থার কথা জানান তিনি।
প্রসঙ্গত,
পাকিস্তানে হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করতে চেয়ে অত্যাচারের ঘটনা আগেও ঘটেছে। ডিসেম্বর মাসেই ৪০ বছর বয়সি এক মহিলাকে নারকীয় অত্যাচার চালিয়ে খুন করা হয়। গত বছরেই তিনজন হিন্দু মহিলাকে অপহরণ করে মুসলিম ব্যক্তিদের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হওয়ায় এক মহিলাকে খুনের অভিযোগও ওঠে এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। একের পর এক অভিযোগ পেয়েও উদাসীন পাক প্রশাসন।