সুদর্শন চ্যানেল ইস্যুতে কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের | ভারত
৬০ হাজারেও বেশি বিচারাধীন মামলা রয়েছে। সে সব ফেলে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সুরেশ চাভাঙ্ককে নিয়ে দুটি মামলার শুনানি করেছে। সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং গ্রেপ্তারের দাবি করেছে।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, দিল্লি পুলিশকে দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার অগ্রগতি নিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এই বিষয়ে চার্জশিট দাখিল করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, দিল্লি পুলিশকে দুই সপ্তাহের মধ্যে মামলার অগ্রগতি নিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এই বিষয়ে চার্জশিট দাখিল করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে,
যারা হিন্দুধর্ম, হিন্দু দেবদেবী, এমনকি যারা সন্দেহজনক বিচ্ছিন্নতাবাদী, উস্কানিমূলক রাষ্ট্রদ্রোহমূলক মন্তব্য করে যেমন- ওয়াইসি, আমানতুল্লাহ খান, মহম্মদ জুবায়ের, মুন্নাভার রানা, তৌকীর রাজা খান, শারজিল ইমাম, তসলিম রহমানি, মাওলানা সাজিদ রশিদ, ইলিয়াস শরফুদ্দিন, জাকির নায়েক এদের নিয়ে শীর্ষ আদালত এতটা মাথা ঘামায় কী?
হিন্দুত্ববাদী ‘সুদর্শন নিউজ’ চ্যানেলের ডিরেক্টর সুরেশ চাভাঙ্কে প্রকাশ্যে এক সভায় সংখ্যালঘুদের খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। হুমকি দেওয়ার ৫ মাস পরে FIR দায়ের করা হয়। ঘটনার এতদিন হয়ে গেলেও দিল্লি পুলিশ কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি কে এম জোসেফ (Justice KM Joseph) এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্বের (Justice BV Nagarathna) বেঞ্চ বলেছে, ‘এফআইআর দায়ের করতে দেরি করেছে পুলিশ, তদন্তও এগোয়নি, কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি!’
উল্লেখ্য,
হিন্দুত্ববাদী ‘সুদর্শন নিউজ’ চ্যানেলের ডিরেক্টর সুরেশ চাভাঙ্কে প্রকাশ্যে এক সভায় সংখ্যালঘুদের খুনের হুমকি দিয়েছিলেন। হুমকি দেওয়ার ৫ মাস পরে FIR দায়ের করা হয়। ঘটনার এতদিন হয়ে গেলেও দিল্লি পুলিশ কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় তীব্র ক্ষোভ জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি কে এম জোসেফ (Justice KM Joseph) এবং বিচারপতি বি ভি নাগরত্বের (Justice BV Nagarathna) বেঞ্চ বলেছে, ‘এফআইআর দায়ের করতে দেরি করেছে পুলিশ, তদন্তও এগোয়নি, কাউকে গ্রেপ্তারও করা হয়নি!’
উল্লেখ্য,
২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে হিন্দু যুব বাহিনীর এক অনুষ্ঠানে হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের স্বার্থে সংখ্যালঘুদের খুনের শপথ নিয়েছিলেন সাংবাদিক সুরেশ চাভাঙ্কে। ঘটনার ৫ মাস পরে ২০২২ সালের ৪ মে এফআইআর দায়ের করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা জানিয়ে বলেছে, ‘কেন পাঁচ মাস লাগলো? এই ঘটনায় কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে কতদূর? সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের থেকে জানুন। উনি রিপোর্ট দেওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে আদালতে হলফনামা জমা দেবেন।’
এদিকে, এবিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, সুরেশ চাভাঙ্কেকে ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের অপব্যবহার করা হচ্ছে? কোটি কোটি মুলতুবি মামলা বাদ দিয়ে, সুরেশ চাভাঙ্কের বিরুদ্ধে এক দিনে দুটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে নোটিশ দেওয়া হয়নি এবং এমনকি তার পক্ষ উপস্থাপনের সুযোগও দেওয়া হয়নি।
সুপ্রিম কোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা জানিয়ে বলেছে, ‘কেন পাঁচ মাস লাগলো? এই ঘটনায় কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে কতদূর? সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের থেকে জানুন। উনি রিপোর্ট দেওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে আদালতে হলফনামা জমা দেবেন।’
এদিকে, এবিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, সুরেশ চাভাঙ্কেকে ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের অপব্যবহার করা হচ্ছে? কোটি কোটি মুলতুবি মামলা বাদ দিয়ে, সুরেশ চাভাঙ্কের বিরুদ্ধে এক দিনে দুটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে নোটিশ দেওয়া হয়নি এবং এমনকি তার পক্ষ উপস্থাপনের সুযোগও দেওয়া হয়নি।