Bangladesh News: বগুড়ায় মা ভবানী মন্দিরের সীমানা ভাঙচুর
বগুড়ায় মা ভবানী মন্দিরের সীমানা ভাঙচুর
গত ১২ ফেব্রুয়ারী রোববার সন্ধ্যা ৭ টায় বগুড়া-শেরপুরের মা ভবানী মন্দিরে হামলা চালিয়ে নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ও টিনের বেড়া ভাঙচুর করে মো. সেলিম সহ ১০-১২ জন লোক। এতে নির্মাণাধীন মন্দিরের প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় সোমবার সন্ধায় বাদি হয়ে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন মন্দির পরিচালনা কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য দিলীপ কুমার দেব, মামলা সুত্রে জানা যায়,
গত তিন মাস আগে বগুড়া জেলা প্রশাসক মন্দিরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করেন। মন্দিরে নিজস্ব অর্থায়নে চলছিল এই সীমানা প্রাচীর। প্রাচীর নির্মাণের সিংঘভাগ কাজ শেষ হওয়া অবস্থায় প্রায়ই সময় স্থানীয় মো: সেলিম, মো: মামুন ও মো: আব্দুল হান্নান খন্দকার সহ অজ্ঞাত ব্যক্তিগণ কাজে বাঁধা প্রদান সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত। এ ঘটনায় সেসময় শেরপুর থানায় একটি জিডি (নং-৯৭৮) করা হয়। এরই এক পর্যায়ে রবিবার সন্ধা সাড়ে ৭টার দিকে মন্দিরের গেস্ট হাউজের পাশে রাস্তার কাজ করার সময় হঠাৎ উল্লেখিত ব্যক্তিদের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। হামলাকারীরা মন্দিরের গেস্ট হাউসে প্রবেশ করে নির্মাণাধীন শ্রমিক আলমগীর ও জাহিদুলকে মারধর করে এবং মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক অপূর্ব চক্রবর্তীকেও মারধরের চেষ্টা করে। এসময় হামলাকারীরা প্রাচীর ভাংচুর, সিমেন্ট ও লোহার রড নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়।
স্থানীয়রা জানান,
মন্দিরের পাশে সীমানা প্রাচীরের বেস ঢালাইয়ের কাজ রবিবার করা হয়েছে। সন্ধ্যায় স্থানীয় মো. সেলিমের নেতৃত্বে অন্তত ১০-১২ জন মন্দিরের সম্পত্তিকে তাদের নিজস্ব সম্পত্তি দাবি করে টিনের বেড়া ও নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভাঙতে শুরু করে।
এ বিষয়ে মো. সেলিম বলেন,
তৎকালে আদালতের একতরফা রায় তাকে তার সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে এই সম্পত্তি নিয়ে তিনি আদালতের মামলা করেছেন। এই মামলা এখনো বিচারাধীন রয়েছে। তাই তিনি এই কাজে বাধা দিয়েছেন। তবে কোন ভাঙচুর সাথে জড়িত নন বলে তিনি দাবি করেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার জানান,
এ ঘটনায় একটি মামলা রূজু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Source: Htpc