দলিত পদবী ব্যাবহার করে সনাতন ধর্মকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত
নামের শেষে দলিত পদবী ব্যবহার করে এক ভদ্রলোক নিজেকে দলিতদের সহমর্মি হতে চেয়েছেন।সেইজন্য তিনি বেছে নিয়েছেন সনাতন ধর্ম ও ভারতবর্ষকে।জাতপাত নিয়ে তিনি সনাতন ধর্মের অতীত টেনে হিন্দু ধর্মের শ্রাদ্ধ করেন সেই জন্য তিনি ভারতের বর্তমান শাসক শ্রেনীকে বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেন।ভারত যখন হিন্দু পুন:র্জাগরনের জোয়ারে ভাসছে হিন্দু তার অধিকার কৃষ্টি সংস্কৃতি পরম্পরা ফিরে পেতে অনেকটা পথ এগিয়ে তখন এই লোকটি হিন্দুদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে হিন্দু ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি করতে চায়।
তিনি নিজে একজন বর্ন হিন্দু কিন্তু দলিত পদবী ব্যবহার করে তিনি মুমিন মুসলমানদের সুরে হিন্দু সংস্কৃতিকে আক্রমণ করেন।সেই জন্য ফেসবুকের অনেক সনাতনী ভাই বন্ধুরা তাকে অনেক ভাবে হিন্দুদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি না করতে অনুরোধ করেন।একটা সময় মানুষ অধৈর্য হয়ে তাকে যখন গালাগাল দিতে শুরু করে তখন তিনি স্বীকার করেন তার পদবী দলিত নয়।তিনি দলিত পদবী ব্যবহার করেন দলিতদের সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য।
কিভাবে সনাতন ধর্মকে অসম্মান করা হচ্ছে?
আসলে তিনি দলিতদের বন্ধু সেজে সনাতন ধর্মকে অসম্মান করার জন্যই নিজের নামের সাথে দলিত পদবী ব্যবহার করেছেন। দলিতদের বিরুদ্ধে নির্যাতন নিপীড়ন নাকি করেন ভারতের ব্রাহ্মণ্যবাদীরা।সেইজন্য তিনি নরেন্দ্র মোদী সরকারকে অকথ্য ভাষায় বৎসনা করেন।ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের মদতে নাকি এই সরকার দলিতদের নির্যাতন করে যাচ্ছে।অথচ দলিতরা নির্যাতনের স্বীকার সেই বৈদিক আমল থেকে যার সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।এটি শুধু হিন্দুদের মধ্যে ঘটছে এমন নয়।সারা পৃথিবীতে যত সম্প্রদায় জাতিগোষ্ঠী রয়েছে প্রত্যেকেই এই সমস্যায় জর্জড়িত।কিন্তু তিনি মুসলমানদের মধ্যে ভেদাভেদ দেখেননা।প্রতিদিন যে এই বিভাজনের ফলে সারা বিশ্বে শিয়া-সুন্নি আহামদিয়াদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী প্রতিহিংসায় মানুষ মারা যাচ্ছে সেদিকে তার কোন লক্ষ নেই।তার অভিমুখ শুধু সনাতন ধর্মের ব্রাহ্মণ আর উচ্চশ্রেণির দিকে।
যারা বর্তমান ভারতের আইন কানুন বিচার ব্যবস্থা গনতান্ত্রিক পরিকাঠামো প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে খোজখবর রাখেন তারা জানেন কেউ আইনের উর্ধে নয়। এতবড় দেশ বিচ্ছিন্নভাবে কোন ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু দেখার বিষয় সেসব বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হচ্ছে কিনা।সর্বোপরি বর্তমান শাসক গোষ্ঠী যেভাবে দেশের মানুষকে একসূত্রে গেথে জাতীয়তাবোধ এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাতে কোন শক্তি ভারতকে রুখতে পারবে না।আর এই দলিত ভদ্রলোকের মতো কিছু চামচিকেরা বলে যাচ্ছে ভারতে দলিতরা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের স্বীকার যা প্রধানত আমরা মুমিন ভাইদের কাছ থেকে শুনে থাকি।সময় আসছে সনাতন বিরোধীদের প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের রাস্তায় নামার।
দেশভাগের পর ভারত শাসিত হত ৩টি এজেন্ডার উপর নির্ভর করে।এক পরিবারবাদ দুই মুসলিম তোষণ তিন জাতপাত।২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর তিনি একেএকে তিনটি প্রতিবন্ধকতা নিশ্চিহ্ন করে ভারতকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।পরিবারবাদ ভারতের দুটি রাজ্যে এখনো রয়েছে একটি প:বঙ্গ আরেকটি তেলেঙ্গানা।এ দুটি রাজ্য থেকেও পরিবারবাদ বিদায় হবে শুধু সময়ের ব্যাপার।
তথাকথিত দলিত পদবীধারির আইডি লিংকঃ
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=894716928357329&id=100034570906661&mibextid=Nif5oz
তিনি নাকি সংখ্যালঘুদের নিয়ে লেখালেখি করেন অথচ বাংলাদেশ সারা পৃথিবীতে একমাত্র দেশ যেখানে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নিরন্তর বৈষম্য ধর্মান্তকরন ধর্মানুভুতিতে আঘাত অত্যাচার অবিচার দেশত্যাগে বাধ্য করা মন্দির ভাঙা স্মরনাতীতকালের মধ্যে গত দুই বছর আগে দুর্গাপূজার সময় সারা দেশব্যাপী যে ধরনের অত্যাচার হয়েছে যা আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে হতভম্ব করে দিয়েছিল।তাদের বিরুদ্ধে তিনি বোবা।দেশভাগের সময় বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ২৮% এখন এসে দাঁড়িয়েছে ৭% এ।এসব ভদ্রলোকের কাছে কোন ঘটনা নয় আমি কেন ইসলামি মৌলবাদের বিরুদ্ধে লিখালিখি করি তাতে তার খুব আপত্তি।এতে নাকি বাংলাদেশের হিন্দুরা অরক্ষিত হয়ে পড়বে দাঙ্গার সৃষ্টি হবে।বাংলাদেশে যত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে তা কি আমার লেখালেখির জন্য ঘটেছে?নাকি এর মূল প্রেরনা একটি গ্রন্থ।এসব নিয়ে কোনদিন তিনি মুখ খোলেননি।অর্থাৎ দলিতদের উপর অত্যাচারের নামে নিরিহ হিন্দুদের অস্তিত্বে উপর আঘাত করা হল তার একমাত্র কাজ।ইসলামি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে তার কোন কথা নেই।
সে নিজেকে মুক্তমনা বলে।যারা মুক্তমনা তারা নাস্তিক হয়।যারা নাস্তিক তারা শুধু হিন্দু ধর্ম নিয়ে কথা বলে না তাদের লিখার সবচেয়ে বড় প্রতিপাদ্য বিষয় হল ইসলামের অমানবিক বিধান।অথচ তিনি অন্যকোন ধর্মের অমানবিক বিষয় তার চোখে পড়েনা।কেবল হিন্দু ধর্ম তার টার্গেট।কারণ সে হিন্দু অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না।যদি করত তাহলে সে তার পৈত্রিক নামের অমর্যাদা করতে পারত না।সে তার জন্মদাতাকেও অস্বীকার করেছে নাম পদবীকে অসম্মান করে।
ধর্মের কুসংস্কার নিয়ে সমালোচনা হতেই পারে।আমিও করি তবে গঠনমূলক।গত কদিন আগে ঢাকার বঙ্গবাজার আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।তখন আমি একটি লেখা দিয়েছিলাম তার শিরোনাম ছিল, "সনাতন অলৌকিক কোন ধর্ম নয়।গীতা আগুনে পোড়ে "। এটা হল গঠনমূলক সমালোচনা।
আমি কাপুরষ নই।নিজেদের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলি নিরন্তর বলে যাব তোমার মতো হিজড়েদের দলের লোক আমি নই এই কথাটি মনে রাখলে খুশী হবো।