পশ্চিম বঙ্গের প্রজ্ঞা দেবনাথ কেরালা স্টোরির মত আরেক চরিত্র
লেখক নারায়ন দেবনাথ: প্রজ্ঞা দেবনাথ কেরল স্টোরির আরেক চরিত্র। এমন চরিত্র যে প:বঙ্গে আরও কত লুকিয়ে রয়েছে তার হিসাব কেউ জানেনা।আসলে জানতে দেয়া হয়নি।এই জানতে না দেয়ার পিছনেই রয়েছে প:বঙ্গে অন্তর্ঘাত মূলক ঘটনার উৎস এবং কেরল স্টোরি সিনেমা বন্ধের নির্দেশ। পশ্চিমবঙ্গ বর্তমান সরকার ভারতীয় ঐতিহ্যকে মুছে দিতে চায়।
প্রজ্ঞা দেবনাথের আয়েশা জান্নাত মোহনা হওয়ার ইতিহাসটা খুব পরিচিত।ভারত এমন একটি দেশ যেখানে শিক্ষা দেওয়া হয় কিভাবে হিন্দুদের পরাজিত করে ভারতে আবার মুসলিম রাজত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা যায়।ইসলামের সহি হাদিসের এই আয়াত(গাজওয়াতুল হিন্দ) প্রতিনিয়ত ভারতের বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়ানো হয়।
সেই দেশে প্রজ্ঞা দেবনাথরা জেহাদি হবে এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।যে রাজ্যে রামায়ণ মহাভারত পড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সে রাজ্যে প্রজ্ঞা দেবনাথরা ধর্মান্তরিত হবে এটাই স্বাভাবিক।যে রাজ্যে এক লপ্তে ৮৫ হাজার মুমিন মুসলমানকে সরকারি টাকায় হজ্জ করানো হয় সে রাজ্যে প্রজ্ঞা দেবনাথদের ধর্মান্তরিত হওয়াই যে বিধান।
যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে গাই-দুধ দেয় তার লাথি খাওয়াও ভাল।সে রাজ্যে প্রজ্ঞা দেবনাথদের দুর্ভাগ্য যে তারা ভারতীয় হওয়ার শিক্ষাই পায়নি।কোন অমুসলমানকে মুসলমান হতে গেলে প্রথমে যে কলেমা পড়তে হয় তাহল,"লাই লাহা ইল্লাল্লাহু মহন্মদূর রসুলুল্লাহ"।সে কলেমা যদি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিজাব পড়ে সচেতনভাবে কোন সভায় দাঁড়িয়ে স্বগর্ভে উচ্চারণ করেন তাহলে তিনি কি আর হিন্দু থাকার অধিকার রাখেন? সে রাজ্যে প্রজ্ঞা দেবনাথের ধর্মান্তরিত হওয়ার মধ্যে আমি কোন দোষ দেখিনা।
ভারতীয় দর্শন মতে গুন থেকে বস্তু আলাদা করা যায় না।যেমন আগুন থেকে তার দাহিকা শক্তি,বরফ থেকে তার শৈত্য এবং জল থেকে তার সিক্ত করার গুনকে আলাদা করা যায় না।তেমনি যে গুনে যিনি গুনান্বিত তার আধার থেকেও তাকে আলাদা করা যাবেনা।একমাত্র উপায় বর্জন করা।প্রজ্ঞা দেবনাথদের দুর্ভাগ্য তারা যে হিন্দু পৈত্রিক পরিচয় ছাড়া তারা আর কিছু শিখতে পারেনি তাদের শিখতে দেয়া হয়নি।আর মুসলমানদের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় বিদ্বেষের মধ্যে দিয়ে।পৃথিবীতে ইসলামই একমাত্র
সত্য ধর্ম আর অমুসলিমরা সব ইসলামের শত্রু।সেখানে প্রজ্ঞা দেবনাথদের দোষ দিয়ে লাভ নেই ব্যর্থতা আমাদের।হিন্দু জাতির দুর্বলতার প্রধান কারণ হচ্ছে স্বধর্মে নিষ্ঠা আর বিশ্বাসে শৈথিল্য। হিন্দু ধর্ম যে শক্তির সাধনা এ কথা আমাদের কেউ শেখায়নি।হিন্দু ধর্মের অনুষ্ঠান যে বীর ভাবোদ্দীপক,হিন্দুর প্রায় সব দেবতা অস্ত্রেশস্ত্রে সুসজ্জিত কেন তার ব্যাখ্যা এতদিন লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।শত্রুনাশে যে এই অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে সে উদ্দীপনা এতদিন হিন্দুদের ভুলিয়ে রাখা হয়েছিল।দেব গনপতি- মা দুর্গার জেষ্ঠ পুত্র সর্বসিদ্ধিদাতা।সকল দেব-দেবীর পূজার পূর্বে গনেশের পূজা করতে হয়।কিন্তু আমরা কি জানি কেন গনেশের গায়ের রং রক্তবর্ন? যে মন্ত্রে আমরা সিদ্ধিদাতার ধ্যান করি সে মন্ত্রেই কিন্তু তার উত্তরটি পাওয়া যায়।অথচ আমারা নিজেদের হিন্দু দাবি করি।শাস্ত্রে আছে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন,"বীর ভোগ্যা বসুন্ধরা - বীর্জ প্রকাশ কর,সাম-দান-ভেদ দন্ডনীতি প্রকাশ কর,পৃথিবী ভোগ কর তবে তুমি ধার্মিক।আর ঝাটা লাথি খেয়ে ঘৃনিত জীবন যাপন করলে ইহলোকেও নরকভোগ পরলোকেও তাই।এটিই শাস্ত্রের মত"।আমরা কি সে শিক্ষা প্রজ্ঞা দেবনাথদের দিতে পেরেছি?পারিনি তাই এই সমাজকে উল্টে দিয়ে ভারতের শিক্ষা সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে তাহলেই এ সমাজ টিকে থাকবে নইলে ভেসে যেতে হবে মরুভূমির রুক্ষ ভয়াল সমুদ্রে।